রেজাউল বারী বাবুল গাজীপুর থেকে : দৃশ্যত তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে(গাসিক) নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের নির্বাচন শেষ হলো। কেন্দ্রের ভিতরে ধানের শীর্ষ প্রতীকের কোন এজেন্ট নেই। বাহিরে কোন ক্যাম্প নেই। এমনকি প্রকাশ্যে কাউকে ধানের শীর্ষের ব্যাজ পরে ঘুরতেও দেখা যায়নি। কোন কেন্দ্রে মারামারি কিংবা হাতা হাতিও হয়নি। দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না গাসিক নির্বাচনে বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বাহিরে ভোটের অপেক্ষা দীর্ঘলাইন। নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষামান লাইন শেষ হচ্ছে না। এমন নিরবতায় কেন্দ্রের ভিতরে চলছে নৌকায় সিল মারার মহোৎসব। প্রতিবাদ করার কেউ নেই। এ যেন নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র।
কিন্তু জেলা রিটানিং অফিসার রাকিব উদ্দিন মন্ডল বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য তিনি গাসিকবাসিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দু একটি কেন্দ্রে সমস্যার কথা আমাদের কাছে সকালে এসেছিল তা আমরা সমাধান করেছি। ভোটারই নিজেই ইচ্ছা মত ভোট দিতে পেরেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন কারণে সাতটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার। বাকি ৪১৮ টি কেন্দ্রে প্রকাশে কোন সমস্যা হয়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকালে টঙ্গী এবং গাজীপুরের ১০ টি কেন্দ্রে ধানের শীর্ষ প্রতীকের কোন এজেন্ট প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। গাছা উচ্চ বিদ্যালয় কাউনিয়া, নওগা, এরশাদনগর কমলেশ্বর, কাসেমপুরে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাগবাড়ী হাক্কানিয়া ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রভৃতি এলাকার কেন্দ্রে কোন ধানের শীর্ষের প্রতীক প্রবেশ করতেই দেয়া হয়নি। এর পর বেলা বাড়ার সাথে সাথে এজেন্ড বের করে দেয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেলা ১২ টার মধ্যে প্রায় সকল কেন্দ্র থেকেই এজেন্ডদের বের করে দেয়া হয়।
সকালেই প্রায় ১৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ধানের শীর্ষের কোন এজেন্ট নেই। এজেন্ট নেই কেন জানতে চাইলে নৌকা প্রতিকের এজেন্টরা বলেন ধানের শীর্ষের এজেন্ট বাথরুমে। আবার কেউ বলছেন, নাস্তা খেতে বাহিরে গেছেন, আবার কখনও বলা হয়েছে ভোট দিতে গেছেন্ আসল কথা হলো তাদের বের করে দেয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে আবারও আওয়ামী লীগের লোকদের ধানের শীর্ষের প্রতিকের এজেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাদের কাছে প্রার্থীর মনোনীত আইডি ছিলনা। কিন্তু কোথায় কোন প্রতিবাদ নেই।
এদিকে সকাল ১১ টার দিকে কেজি আদর্শ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ১৩ বছরের কিশোর ভোট দিচ্ছেন। তার বয়স এবং পরিচয় জানতে চাইলে প্রিজাডিং অফিসার বলেন,আমাদের কিছু করার নেই। কাউকে দেখে তো আর বয়স নির্ণয় করা যায় না।
এদিকে রানী বিলাসমনি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় শতাধিক নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রযোগ করতে পারেননি। এটি ছিল ইভিএম ভোট কেন্দ্র। তাদের নামের সাথে ছবির মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এমন অভিযোগে তাদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি। তাদের অভিযোগে সরাসরি রিটার্নিং অপিসার রাকিব উদ্দিনের কাছে দিয়েও কোন লাভ হয়নি।
এই কেন্দ্রেও বেলা ১২টার পরে প্রকাশ্যে সিল মারতে দেখা গেছে। একইভাবে গাছা ইউনিয়নে সকাল থেকে ভোটারদের দাঁড় করিয়ে রেখে ছাত্রলীগের নেতারা নৌকায় সিল মারে। অনেকে ৪/৫ ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে ভোট না দিয়ে চলে যান। এ কেন্দ্রে সাংবাদিকরা সিল মারার ছবি তোলতে চাইলে তাদের ক্যামরা ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগ নেতারা। পরে ছবি না তোলার শর্তে ক্যামরা নেয়া হয়েছে।
এসব আওয়ামী নেতারা বলেন সাংবাদিক প্রবেশ করলো কি করে। তিনি বলেন তোদের না বলেছি সাংবাদিক আসলে আমাদের বলবি। তারা প্রবেশ করলো কি করে।
এসব অনিয়ম আর সিল মারার মহোৎসবকে স্বীকার করতে রাজি নন নির্বাচন কমিশন। তারা বলছেন বিচ্ছিন্ন দু একটা ঘটনা ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্টু হয়েছে। নির্বাচনে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা সবার সহায়তা চাই।
এদিকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানান হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন দেশে নিয়ন্ত্রিত গনতন্ত্রের নির্বাচন চলছে। বাহিরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট। বাহিরে শান্ত নিরব পরিবেশ হলেও ভিতরে সিল মারার মহোৎসব চলছে। এটি কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না।
হাসান সরকারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. সোহরাব উদ্দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন। তিনি জানান, নির্বাচনে সাড়ে তিনশ কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিকেল ৪টায় সাংবাদিকদের ডেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেছেন অন্তত চারশ কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, কাউলতিয়া ২১ নং ওয়ার্ড জহিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপির কোনো এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। এখানে সকাল থেকে নৌকা প্রতিকে সিল মারতে দেখা গেছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে বলে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল রাতে ৩১ নং ওয়ার্ড ধীরাশ্রম কেন্দ্রের এজেন্ট এবং বিএনপি নেতা এডভোকেট মানিককে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এরপর বিকল্প এজেন্ট সেলিম রেজা দায়িত্ব পালন করতে গেলে ডিবি পুলিশ তাকেও ধরে নিয়ে যায়। এর পর এখানে সিল মারা শুরু হয়। এজেন্ট না থাকার আর কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি।
একই সঙ্গে ১১ নং ওয়ার্ড খোলাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ডিবি পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের লোকজন ঢুকে বিএনপির সিরাজুল ইসলামসহ সব এজেন্টদের বের করে দেয়।
পাশাপাশি ৭ নং ওয়ার্ড দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্র, ৩০ নং ওয়ার্ড বালুচাপলি কেন্দ্র, ৩০ নং ওয়ার্ড নীলের পাড়া কেন্দ্র, ৩০ নং ওয়ার্ড কানাইয়া কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কলমেশ্বর প্রাইমারি স্কুল কেন্দ্রে বিএনপির সাতজন এজেন্টের কাছ থেকে কার্ড ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ৫ নং ওয়ার্ড বাগবাড়ী কেন্দ্রে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের লোকজন তান্ডব চালিয়েছে। ৪ নং ওয়ার্ড সারদাগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিএনপি এজেন্টদেরকে বের করে দিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া ২ নং ওয়ার্ড লতিফপুর কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে নুরুল হক মেম্বারের নেতৃত্বে সকাল থেকে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে। নজরুন ইসমাইল পাঠান একাডেমি কেন্দ্রের সব এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে। ৮ নং ওয়ার্ড পারিজাত কেন্দ্র ছাত্রদল নেতা হিমেলকে মারধর করে ২২ জন এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। কাশিমপুর ৬ নং ওয়ার্ড পাইন শাইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। লোহাকুর মাজার কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে।
এছাড়া মেঘডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আওয়ামী লীগের শিরিশ চেয়ারম্যানসহ সন্ত্রাসীরা এজেন্টদেরকে বের করে দেয়ার জন্য বল প্রয়োগ করেছেন। এখানেও বেলা ১২টার পরে প্রকাশ্যে সিল মারা হয়েছে।
এছাড়া ৩৫ নং ওয়ার্ড বায়তুস সালাম কেন্দ্র, ২৬ নং ওয়ার্ড শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও অথেন্টিক আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্র, ভানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ওয়ার্ড ২৪ বিডিপি স্কুল কেন্দ্র, ২৮ নং ওয়ার্ড লাগালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ২৮ নং ওয়ার্ড হারিনাল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ৪৯ নং ওয়ার্ড এরশাদ নগর কেন্দ্র, টঙ্গী নোয়াগাঁও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, কাশিমপুর বাগবাড়ী মাদরাসা ও সুরপাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ১১ নং ওয়ার্ড জয়ের টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, গাছা ৩৪ নং ওয়ার্ড অনন্ত মডেল স্কুল, শরীফপুর দাখিল মাদরাসা কেন্দ্র, জিয়াস খান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, সাবেক গাছা ইউনিয়নের সব কেন্দ্র পুলিশ দখল করে সিল মেরেছে। পাশাপাশি পূবাইল রহমানিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে মহিলা পুলিশ সিল মেরেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ভাওয়াল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের মুগরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিএনপির পোলিং এজেন্ট আমিনুল ইসলাম জানান, ভোট গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোটকেন্দ্র দখলে নেন নৌকা প্রতীকে লোকজন। এসময় তারা বিএনপি’র এজেন্টদের বের করে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে সিল মারতে থাকে। এতে ওই কেন্দ্রে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। এসময় কেন্দ্রের বাইরে ভোটাররা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও বালট পেপার না থাকায় কিছু সময়ের জন্য ভোট গ্রহণ থেমে যায়। এক পর্যায়ে ভোটাররা ব্যালট পেপারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
এ ঘটনায় রিটার্নিং অফিসার রাকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, দু’একটা কেন্দ্রে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে তবে এখনই তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছিনা । আমরা সর্বশেষ ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। নির্বাচন এখনও সুষ্ঠু ও আবাধ আছে। এখনো প্রচুর ভোটার আমরা ভোট কেন্দ্রে দেখেছি মহিলা ভোটারও আছে। তারা নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করছে। যে কয়েকটি কেন্দ্রে গোলযোগ হয়েছে সেসব কেন্দ্রে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।
বিএনপি যে অভিযোগ করেছে সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি । ইতোমধ্যে আমরা অভিযোগগুলো রিসিভ করেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখছি।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ দুপুরে স্থানীয় রাণী বিলাস মনি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু ভাবে ভোটগহন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কোন রির্টানিং কর্মকর্তাও অভিযোগ করেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর হাতপাখা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী প্রিন্সিপাল নাসির উদ্দিনও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছেন। দলের গাজীপুর সিটি নির্বচানী কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ জানানো হয়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির দলীয় প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। তবে তিনি ভোট বর্জন করবেন না বলে জানান। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া একটার দিকে গাজীপুর জেলা দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, প্রায় শতাধিক বুথ থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ব্যালট ছিনতাই করে জাল ভোট দেয়া হয়েছে। এভাবে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আমি এ ভোট বন্ধের দাবি জানাই। তবে আমি ভোট বর্জন করব না। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থেকে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগের স্বরূপ দেখাতে চাই। দেশবাসীকে দেখাতে চাই আওয়ামী লীগ কীভাবে ভোট কারচুপি করে নির্বাচন করে।তিনি বলেন, আমি রিটার্নিং অফিসারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত অভিযোগ দেব। ভোট বন্ধের দাবি জানাব।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রে মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে ৯টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থগিত কেন্দ্রগুলো হলো- খরতৈল মনসুর আলী আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (নং-৩৭২), খরতৈল মনসুর আলী আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (নং ৩৭৩), হাজী পিয়ার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (নং-৩৮১), জাহান পাবলিক দত্তপাড়া টঙ্গী কেন্দ্র (নং-৩৪২), ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (নং-৯৮), কুনিয়া হাজী আব্দুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (নং-২৪৩), কুনিয়া হাজী আব্দুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (নং-২৪৪), মেশিন টুলস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (নং-১৬১) এবং বিন্দান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূবাইল কেন্দ্র (নং ২৭৪)।
তারিফুজ্জামান জানান, কেন্দ্র গুলোর সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার ইসির সঙ্গে পরামর্শ করে বিধি মোতাবেক ভোট গ্রহণ স্থগিত করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তালিকা পাঠিয়েছেন। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৩৫ জন।
Check Also
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …