ক্রাইমবার্তা রিপোট:বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও ১১টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায় না। কিন্তু গাজীপুরের নির্বাচনে বেলা ১১টায় ব্যালট পেপার ফুরিয়ে গেছে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যদি আবার ভোট গণনা করা হয়, তাহলে প্রায় দুই লাখ ভোট বেশি পেয়ে বিএনপির প্রার্থীর বিজয় হবে। এভাবে একটি দেশে চলতে পারে না। নির্বাচনে ভোট গণনার আগ পর্যন্ত রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসাররা কোন কেন্দ্রে কতো ভোট পড়েছে কখনও সেই হিসাব দিতে পারেনি। এটা হিসাব দেয়ার বিধি-বিধান রয়েছে।’
বুধবার রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার নির্বাচন সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নৈরাজ্য বন্ধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে বিএনপি একত্রে কাজ করবে। ভোট ডাকাতদের ধরতে বিএনপির নেতাকর্মীদের এক হয়ে সংগ্রাম করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারা আমার সেই আহ্বানে সারা দিয়েছে, আমি তাদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা, কেন্দ্রীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
————–0———–
গাজীপুরের নির্বাচন আ.লীগ করেনি: খসরু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আওয়ামী লীগ করেনি, করেছে পুলিশ, ডিবির একটি অংশ। আর তাদের সহযোগী ছিলো নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এখন নির্বাচন করতে হয় না। তাদের কাজ ডিবি, পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ করে দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচনী প্রহসন: বিপর্যস্ত ভোটের অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, দেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্টেটস ধ্বংস হয়ে গেছে। আর এখন চতুর্থ স্টেটস গণমাধ্যমকে ধ্বংস করতে চায়। ভোট ডাকাতি করতে গিয়ে তারা গাজীপুর নির্বাচনে গণমাধ্যমকেও বাঁধা দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এটি জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে একাতবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নয়তো এভাবে চললে চিরতরে মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। দেশ শাসিত হবে অবৈধ সরকার দ্বারা আর অবৈধ স্থানীয় প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে। সূতরাং আমাদেরকে আইনের শাসন ফিরে পেতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। বিএনপি এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে দুটি শপথ-আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করে আনা এবং দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা।
নাগিরক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।