ক্রাইমবার্তা রিপোট: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে সাজানো ও প্রহসনের আখ্যায়িত করে পূর্বনির্ধারিত ফল গ্রহণযোগ্য নয় বলেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
বুধবার দলটির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণকালে সকাল থেকেই অনেক এলাকায় সরকার দলীয় ছাড়া অন্য দলের এজেন্টরা দাঁড়াতেই পারেননি। নির্বাচনে আচরণবিধি লংঘন করে এলাকায় এলাকায় মহড়া, নানান কলাকৌশলে পুরো নির্বাচনী পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হয়।
তারা বলেন, এরপর কয়েকটি এলাকায় বিরোধী দলসমূহের এজেন্টদের থাকতে না দেওয়া, ভাঙচুর, ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে বেআইনিভাবে সিল মারার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে, সাধারণ মানুষ ভোট প্রদানের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের তুলনায় অনেক কম ছিল। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গণতন্ত্রের শবযাত্রার মিছিল দীর্ঘতর হলো বলে উল্লেখ করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়ায় জানান গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতারা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ভোট ডাকাতি, ব্যালট ছিনতাই, প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার মধ্য দিয়ে আরও একটি ‘গণতান্ত্রিক’ নির্বাচনের মহড়া সমাপ্ত করল মহাজোট সরকার।
যুক্ত বিবৃতি দেন, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়কারী ও বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।
তারা বলেন, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সমাপ্ত হলো। আওয়ামী প্রার্থী বিজয়ী ঘোষিত হলো এবং গণতন্ত্রের শবযাত্রার মিছিল দীর্ঘতর হলো।
তারা আরও বলেন, অনির্বাচিত জনসমর্থনহীন এই স্বৈরতন্ত্রী সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন করে কিছু হবে না। জনগণের গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকারসহ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যও গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।