ক্রাইমবার্তা রিপোট: নেইমার-কুতিনহো-পাওলিনহোদের পায়ে ফুটল ফুটবলের শৈল্পিক ফুল। ছন্দময় ফুটবল উপহার দিল ব্রাজিল। ল্যাতিন ছন্দের কাছে পরাভূত হলো ইউরোপের পাওয়ার ফুটবল! আর না বললেও চলে, পাত্তাই পেল না সার্বিয়া। তাদের ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠে গেল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ন্যূনতম ড্র হলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখবে ব্রাজিল। তবে জিততেই হবে সার্বিয়াকে। এমন সমীকরণ নিয়ে মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে খেলতে নামেন নেইমাররা। আক্রমণাত্মক সূচনা করেন তারা। সূচনালগ্ন থেকেই তাদের পায়ে দেখা যায় ছন্দের পসরা। একের এক আক্রমণে সার্বিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন তারা।
যদিও সুযোগ আসে একটু বিলম্বে। খেলার ২৫ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। গোলপোস্ট বরাবর বাঁ পায়ে শট নেন নেইমার। তবে প্রাণভোমরার জোরালো শট অসামান্য দক্ষতায় রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ভ্লাদিমির স্টোজকোভিচ।
পরেও আক্রমণের গতি সচল রাখে ব্রাজিল। ফলে সাফল্যও আসে। ৩৬ মিনিটে নিশানাভেদ করেন পাওলিনহো। তবে এ গোলের রূপকার ছিলেন কুতিনহো। থ্রুটা ছিল এ মিডফিল্ডারেরই। পরে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আর গোলমুখ খুলতে পারেননি ব্রাজিলিয়ানরা। ফলে ১-০তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যান তারা।
বিরতি থেকে ফিরে ঝটিকা আক্রমণ শুরু করে সার্বিয়া। ব্রাজিলকে ঠেসে ধরে দলটি। মুহুর্মুহু আক্রমণে প্রতিপক্ষ শিবিরে ত্রাস ছড়ান সার্বিয়ানরা। এ অর্ধে গোলও পেতে পারতেন তারা। তবে ৫৫ ও ৬৩ মিনিটে ভাগ্য সহায় না হওয়ায় গোল পাননি। সার্জেই মিলিনকোভিচের দুটি শট দারুণ দক্ষতায় সেভ করেন অ্যালিসন।
সার্বিয়ার আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। একরকম গেমই ওপেন হয়ে যায়। ফলে পাল্টা আক্রমণে উঠার সুযোগ পায় ব্রাজিল। তার সদ্ব্যবহার করতে মোটেও ভুল করেননি ২০০২ চ্যাম্পিয়নরা। ৬৮ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে ঠিকানায় বল পাঠান থিয়াগো সিলভা। তিনি গোল করলেও এর কারিগর ছিলেন নেইমার। এ গোলে ছিল তারই অ্যাসিস্ট।
বাকি সময়েও দুর্দান্ত খেলেছেন সেলেকাওরা। ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। তবে ৭৩ ও ৮৯ মিনিটে নেইমারের দুটি শট অসাধারণভাবে রুখে দেন সার্বিয়া গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ২-০গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ের তিতের শিষ্যরা।