শেখ আলমগীর হাসান আলম সিআইডি পুলিশের হাতে হত্যার মূল নায়ক হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলমের স্ত্রী, অনুগত ভাই শেখ জাহাঙ্গীর হাসান খোকন, খোকনের পুত্র শাবাব ভোর রাত থেকে নিহত ইমনের পিতা লিটন ও তার স্ত্রী আসমাহুল হুসনাকে বাইরে থেকে তালা মেরে গৃহবন্দি করে রাখে। বৃহস্পতিবার সকালে ইমনের পিতা-মাতাকে নিয়ে আইনজীবী ভবনের তৃতীয় তলায় একজন খ্যাতনামা আইনজীবীর কক্ষে আটকিয়ে রাখে বলে সূত্র জানায়। সেখানে বিজ্ঞ আইনজীবী লিটনের নিকট থেকে নন জুডিশিয়াল কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়ার সময় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনি কী স্বেচ্ছায়, স্বত: প্রণোদিতভাবে, নাকি চাপের মুখে স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর করছেন?’
জবাবে ইকবাল হাসান লিটন বলেন, দেখতেই তো পাচ্ছেন চাপের মুখে আমাকে সই করতে হচ্ছে…।
লিটন জানান, একটি লেখা, অপর একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর পর আমাকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে নিয়ে আলমের সাথে দেখা করানো হয়। ঐ সময় আলম স্বীকারোক্তি প্রদান করে যে, ‘আমি পাপ করেছি, এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি।’
শুক্রবার শেখ ইকবাল হাসান লিটন সাতক্ষীরা সদর থানায় তার এবং তার স্ত্রী আসমাহুল হুসনা ও পুত্র রিমনের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে গিয়েও ভয় ও আতংকে জিডি না করেই ফিরে আসেন বলে সাংবাদিককে জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি শেখ হাসিবুল হাসান ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ইমনের লাশ মাটিয়াডাঙ্গা আমতলার একটি মৎস্যঘেরের পাশে ফেলে রেখে আসা হয়েছিল। ইমনের পিতা লিটনকে মামলার বাদী হতে না দিয়ে ইমনের চাচা আলম বাদী হন। আলম ও তার সহযোগিদের দেখানো মতে ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করানো হয়েছিল। দু’জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর বাগেরহাট সিআইডি পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের হাতে ইমন হত্যার মূল নায়ক হিসেবে আলম গত ২৫জুন আটক হয় এবং ২৬ জুন ৫দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আগামী ১০ জুলাই রিমান্ড আবেদনের শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।