সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ; সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়–খালিতে জনসাধারণের চলাচলরের রাস্তা কেটে ও নদীর চর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের প্রতিকার ও জবরদখলকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সস্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সস্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়–খালি গ্রামের মৃত বৈদ্যনাথ চৌধুরীর ছেলে স্বপন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়–খালি ৯নং ওয়ার্ডের উপর দিয়ে একটি খাল প্রবাহিত। খালের উপর ভাড়–খালি ব্রীজের পশ্চিম পাশ দিয়ে উত্তর দিকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি ইট সোলিং এর রাস্তা রহিয়াছে। এ রাস্তা দিয়ে ৯নং ওয়ার্ডের সরদারপাড়া, কামারপাড়া, কারিকরপাড়া ও পাড়–ই পাড়ার বাসিন্দারা চলাচল করে থাকে। ভাড়–খালি বাজারের ওঠার জন্য এটাই তাদের প্রধান রাস্তা। বিগত ২০০১ সালের শেষের দিকে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ভাড়–খালি ব্রীজের পশ্চিম পাশের রাস্তা ও খালের চর দখল করে একটি বড় কৃষ্ণচুড়া গাছ কেটে আত্মসাৎ করে হোটেল নির্মান করে জামায়াতের সক্রিয় কর্মী গোলাম রহমান। রাস্তার উপরের নির্মাণ করা হয় দু’টি বড় চুলা। রাস্তার উপর রাখা হয় জ্বালানী কাঠ। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রায় দেড় শতাতিক নারী ও পুরুষ জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করলেও কোন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। জামায়াত কর্মী হওয়ায় টাকার বিনিময়ে সে যাত্রায় রেহাই পেয়ে যায় গোলাম রহমান। ওই হোটেলের পাশে খালের চরে রাস্তার পাশে একটি খেজুর গাছ ও একটি নিম গাছ ছিল। গত ২৮ রোজার দিন সকালে আজিজ হাসান টুনু ও জামায়াত নেতা গোলাম রবি মাষ্টারের সহযোগিতায় গোলাম রহমান খেজুর গাছ ও মেহগনি তাছ দু’টি কেটে ফেলে সেখানে সিমেন্ট, বালি ও ইট দিয়ে দোকানের মেঝে তৈরির পাশাপাশি লোহার রড দিয়ে চারটি পিলার নির্মাণ কাজ শুরু করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা-১ এর সেকশান অফিসার এসএম সাঈদুজ্জামানকে অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে তিনি কাটা নিম গাছ ও খেজুর গাছ জব্দ করলেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি। এমনকি সদর থানা থেকে পুলিশ এসে নির্মিতব্য অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেও গোলাম রহমান সে আদেশ মানে নি। এমতাঅবস্থায় খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে রাস্তা ভাঙতে শুরু হয়েছে। ফলে জনসাধারণের চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। চলতি মাসে বর্ষা শুরু হলে খালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাস্তা যে কোন সময়ে ভেঙে খালের গর্ভে চলে গেলে ভেঙে পড়বে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকার জনগনের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা সংলগ্ন খালের বেড়িবাঁধের উপর থেকে অবৈধ হোটেল ও স্থাপনা অপসারন করে যাতে ইট সোলিং এর রাস্তাটি সমুন্নত রাখা ও সরকারি জায়গা জবরদখলকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক, রবিউল ইসলাম, মনীন্দ্রনাথ সরকার, চ-ীদাস চৌধুরী, সুশান্ত সরকার, গৌতম সরকার, আসাদুজ্জামান, আবুল হোসেন সোহাগ, মশিউর রহমান পলাশ, ইমরান হোসেন, শামীম হোসেন, আনারুল ইসলাম, সবুজ হোসেন, গোলাম হোসেন, শওকত হোসেন, নিতাই বৈরাগী, জাকির হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। #
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …