সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। আহত অন্য তিনজনের নাম-পরিচয় জানাতে রাজি হয়নি আন্দোলনকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটক থেকে পূর্বঘোষিত পতাকা মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকের সামনে যাচ্ছিল ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী। মিছিলটি প্রধান ফটকের কাছাকাছি পৌঁছালে ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাতে হামলা চালায়। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় তাদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বেধড়ক মারপিট করে বেশ কয়েকজনকে। ছাত্রলীগের হামলা থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে পালানোর চেষ্টার সময় তরিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে যায়। তাকে বেধড়ক মারপিট করে ছাত্রলীগ।
পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় পাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করে।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের বাধার মুখে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেনি আন্দোলনকারীরা। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহনের বাস চলাচলও। দিনভর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্রলীগ। ফলে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি কেউ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করা হবে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও সজাগ রয়েছে।’শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা এবং রোববার (১ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।একই সঙ্গে সোমবার পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করে তারা।