ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সম্পদ কমলেও তার স্ত্রী আসমা কামরানের সম্পদ বেড়েছে। আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর সম্পদ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে ব্যাংক দেনাও।
মনোনয়নপত্রে আরিফুল হক চৌধুরী স্বশিক্ষিত ও পেশায় ‘সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন ও ডেইরি ফার্ম ব্যবসা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর এইচএসসি পাস বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেশায় বালু ও পাথর সরবরাহকারী এবং কমিশন এজেন্ট। অতীতে কামরানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা থাকলেও তিনি সব ক’টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। আর আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৭টি মামলা থাকলেও কিছু মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। অতীতে আরিফও একটি মামলা থেকে খালাস ও আরেকটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান তার দাখিল করা মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেছেন, তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৩১ টাকা। নগদ ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫২ টাকা এবং প্রায় ৭ লাখ টাকা মূল্যের অলংকার, ইলেকট্রনিকসামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪২ হাজার। সিলেট সিটি করপোরেশনের সোনালী ব্যাংকে ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ২৮২ টাকার দেনা রয়েছে। তিনি পেশায় বালু ও পাথর সরবরাহকারী এবং কমিশন এজেন্ট। এই ব্যবসা থেকে কামরান বছরে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। এছাড়া তার শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে বার্ষিক আয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৪০৩ টাকা। তার স্ত্রী আসমা কামরানের ৩ কোটি ৪৫ লাখ ১ হাজার ৩৯০ টাকা মূল্যের দালান, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে। এছাড়া অকৃষি জমি রয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ১৩ হাজার ৫৩১ টাকার। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ কোটি ৫ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকা। সাড়ে ৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপগাড়ি এবং প্রায় ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের অলংকার, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকসামগ্রী রয়েছে।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩২ টাকা। এর মধ্যে নগদ ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৭ টাকা, ১১ লাখ ২৫ হাজার ৭৭ টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯১৩ দশমিক ৩৪ টাকা, ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার, ১৩ লাখ ১৫ হাজার ২৭৫ টাকার প্রাইজবন্ড, ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা সমমূল্যের গাড়ি, দেড় লাখ টাকার ইলেকট্রনিকসামগ্রী, ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ৩০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে। আরিফের ৮ দশমিক ৫৩ একর কৃষিজমি, ৫ দশমিক ৫৩ একর অকৃষি জমি, সেমিপাকা ৩টি ও ২টি দালান রয়েছে। তবে সিলেটের পূবালী ব্যাংকে ৭৭ লাখ ৮২ হাজার ২৫০ টাকা ও সিটি ব্যাংকে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩ টাকা দেনা রয়েছে। আরিফ পেশায় সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন ও ডেইরি ফার্ম ব্যবসায়ী। তার বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৫৮ হাজার ১২০ টাকা। তার স্ত্রী শ্যামা হক চৌধুরীর আয় ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩০০ টাকা।
আরিফের মেয়ের মালিকানাধীন বাসা থেকে ভাড়া ১ লাখ ৮ হাজার ও নির্ভরশীলদের কৃষি খাত থেকে ৩০ হাজার টাকা পান। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩০০ টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২ লাখ, ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার একটি পিকআপ গাড়ি, ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকার আসবাবপত্র, ১ লাখ ১২ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, ৪৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিকসামগ্রী রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে দশমিক শূন্য ৮ একর অকৃষি জমি ও একটি সেমিপাকা দালান রয়েছে। আরিফুল হকের মা আমিনা খাতুনের নামে একটি ফ্ল্যাট ও দশমিক শূন্য ৩ একর অকৃষি জমি আছে