ক্রাইমবার্তা রিপোট:টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে যৌথভাবে দশম অবস্থানে রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বুধবার বাংলাদেশ ৪৩ রানে অল আউট হওয়ার আগে ১৯৮৯ সালের ২৫ মার্চ কেপ টাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৩ রানে সবকটি উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওইটা ছিল ৩২তম টেস্ট। বাংলাদেশ এই লজ্জার রেকর্ড করলো ২হাজার ৩১০তম টেস্ট ম্যাচে।
লজ্জার রানের রেকর্ডে নবম, অস্টম এবং সপ্তম অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের নাম। এই তিন দেশের সর্বনিম্ন রান ৪২ করে। ষষ্ঠ অবস্থানে আছে ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার করা ৩৬ রান। ৭০তম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। এছাড়া পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় পর্যন্ত লজ্জার রেকর্ডের রান গুলো দক্ষিণ আফ্রিকার। দলটি বিভিন্ন সময়ে আউট হয়েছে ৩৬, ৩৫ এবং ৩০,৩০ করে। তবে এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের। ১৯৫৫ সালের ২৫ মার্চ অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৪০২তম টেস্টে তারা রান করেছিল মাত্র ২৬। এই রেকর্ডেও প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড।
আরো পড়ুন: টেস্টে ৪৩ রানের লজ্জা পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ টেস্টে সর্বনিম্ন ৪৩ রানের স্কোর করেছে ওযেস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর আগে টেস্টে বাংলাদেশের এক ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ছিল ৬২ রানের। ১২ বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পেতে হয়েছিল সেই লজ্জা।
বল হাতে একাই ক্যারিবিয়ান ঝড় তুলেছেন কেমার রোচ। ১০ রানের মাথায় তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে শুরু করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত ৪ রানে নেই তামিম। দলীয় ১৬ রানের সময় মুমিনুল ফিরলেন মাত্র ১ রানে। দুঃস্বপ্নটা তখন শুরু করেছে দেখা দিতে। এরপর দলীয় ১৮ রানে মুশফিকুর রহিম, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ এই তিনজন রানের খাতা না খুলেই ফিরে গেছেন সাজ ঘরে। প্রথম ৫ টি উইকেটই নিয়েছেন কেমার রোচ। মুশফিক এলবিডব্লিউ ছাড়া বাকি সবাই ক্যাচ আউট হয়েছেন।
লিটন দাসের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ কিছুটা এগিয়ে যেতে শুরু করলে তিনি ২৫ রান করে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ডিপ পয়েন্টে ক্যচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। কামিন্সের বলে লিটন আউট হওয়ার পর দলীয় রান ৩৪ রেখেই নুরুল হাসান আউট হন। এর পর মেহেদী হাসান ১ রান যোগ করে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় আউট হন কমিন্সের বলেই। এরপর শেষ পেরেক মারেন জেসন হোল্ডার। হোল্ডারের শিকার হয়ে ফেরেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ও রাহী।
মাত্র ১৮ ওভার ৪ বলে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন।
আরো পড়ুন: সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন সাকিব
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে আজ রাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে। দীর্ঘ চার বছর পর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে খেলতে নামছে সাকিবরা। ২০১৪ সালে সবর্শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস অ্যাটাকের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশ। আর সম্প্রতি এই পেসারদের কাছেই নাস্তানাবুদ হয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাই তাদের নিয়ে কী ভাবছে সাকিবরা?
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা টিভিতে শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দেখেছি। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল সেটি। এটি আমাদের জন্য ভিন্ন আরেকটি সিরিজ এবং আমাদের সব মনোযোগ এখন এদিকেই। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি ভালোভাবে দেখায় আমরা জানি তাদের বোলিং আক্রমণের শক্তিমত্তা কতটুকু। তাদের দলে বেশ কিছু ভালো বোলার আছে। এদের মোকাবেলা করতে আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে।’
এছাড়া সেখানকার উইকেট সাকিব বলেন, ‘উইকেট দেখে মনে হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাস থাকবে। আমার মতে ছেলেরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত যেহেতু এই উইকেট অনেক গতি এবং বাউন্স নিয়ে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। তাই উইকেট নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি না। আমরা যদি নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি সেটাই দলের জন্য যথেষ্ট হবে।’