থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে থাকাদের করে অনা হচ্ছে

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ   উত্তর থাইল্যান্ডের একটি গুহার ভেতর আটকে থাকা বাকি আট জন এবং তাদের কোচ এখন অপেক্ষায় আছে গুহার বাইরে বের হওয়ার জন্য।উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এই উদ্ধার অভিযান রাতভর স্থগিত করা হয়।রবিবার চারজনকে নিরাপদভাবে উদ্ধার করে আনা হয়। গুহার মধ্যে বন্যার পানি অব্যাহত প্রবাহ এবং এয়ার ট্যাং প্রতিস্থাপন করার জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।আজ সোমবার সকালে গুহার মুখে কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্টদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে উদ্ধার অভিযান আবারো শুরু করার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।তবে কখন শুরু হবে এ ব্যাপারে কোন নিশ্চিত খবর পাওয়া যায় নি।গুহার মুখে সাতটা অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রবিবার বৃষ্টির গতি কিছুটা থামলে উদ্ধার কর্মীরা সেই সুযোগটা গ্রহণ করে। কিন্তু রাতের বেলা আবারো তুমুল বৃষ্টিপাত হয়। এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলছে সামনের দিনগুলোতে আরো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যেভাবে এদের বাইরে আনা হচ্ছে

গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়েছে, সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় এগারো ঘণ্টা সময় লাগছে।

এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, কিছুটা পথ পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে আগাতে হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। আর অনেক জায়গা পানিতে ডুবে আছে।

সেখানে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই ঘুটঘুটে অন্ধকারে।

প্রত্যেক ছেলেকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মাস্ক পড়তে হচ্ছে। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি থাকছে গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করছে।

সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।

এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হচ্ছে।

এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়েছে।

সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হচ্ছে। বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।

Check Also

স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় রিকশা চালালেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার

ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ! ভাবতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি তেমনি এক ঘটনা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।