ক্রাইমবার্তা রিপোট: দেশব্যাপী চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে শুক্রবার রাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে টাঙ্গাইল ও যশোর ও বগুড়ায় আরো তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে এ সব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি।
এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে র্যাবের গুলিতে নিহত হয়েছেন আফজাল হোসেন (২৮)। নিহত ব্যক্তি মাদক মামলার আসামি বলে র্যাবের দাবি।
যশোরের চৌগাছায় রতন (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার দীঘলসিংগা গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে। রতন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে তার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। পুলিশ বলেছে, গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির লাশের পাশে ইয়াবার প্যাকেট পাওয়া গেছে। তিনিও মাদক ব্যাবসায়ী।
এদিকে বগুড়ায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শহরের ভাটকান্দি ব্রিজের পূর্ব মাথায় এক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে শহরের এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন বলে জানান পুলিশ।
বগুড়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তির নাম পুতু মিয়া (৪৫)। তিনি বগুড়ার আলোচিত ধর্ষক তুফান সরকার ও যুবলীগ নেতা মতিন সরকারের ভাই। বগুড়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং পরে সেই কিশোরী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তখন তারা ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলো।
‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি পাইপ গান, আট রাউন্ড গুলি ও পাঁচশ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। শুক্রবার সকালে জেলার মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত মে মাস থেকে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রায় প্রতি রাতেই কথিত এ বন্দুকযুদ্ধে ‘মাদক বিক্রেতাদের’ নিহতের খবর দিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ধরনের ঘটনায় গত দুই মাসে প্রায় ২শ মানুষ নিহত হয়েছেন।
এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বন্দুকযুদ্ধকে আইনের শাসনবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন তারা। তবে থেমে নেই কথিত বন্দুকযুদ্ধ।