কোটা নিয়ে ‘প্রতারণা’র আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি

ক্রাইমবার্তা রিপোট:   ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, কোটা নিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতেই সেদিন ‘প্রতারণা’র আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, হাইকোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা সম্ভব নয় বলে গতকাল জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাহলে তিনি ছাত্রদের তুমুল আন্দোলনের মুখে কোটা বাতিলের কথা কেনো বলেছিলেন? তখন তো হাইকোর্টের রায় ছিল। তখন তার মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মনে হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শেখ হাসিনার দরদ ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে ৭১’এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দিয়ে হামলা করাতেন না। এ হামলা পরিকল্পিত, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে যে কোনো ঘোষণা মানেই সেটি আইনের সমতুল্য এবং তা কার্যকর হতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায়নি তারা কোট সংস্কার চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যে এটা এখন সুস্পষ্ট যে, তিনি ছাত্র আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতেই সেদিন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেদিন আমরা বলেছিলাম কোটা বাতিলের ঘোষণা একটা ধাপ্পাবাজি। আন্দোলনে ছাত্র নেতাদেরকে ধোঁকা দেয়ার জন্যই দিনে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ম্যাকিয়াভ্যালির চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঈদের পর আবারো ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন দমন পীড়নের নিষ্ঠুর পথ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি রাম দা আর বাঁশের লঠিসহ ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর। কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা রাশেদকে দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে তাকে থেতলে দেওয়া হচ্ছে। তার অত্যাচারের বিভীষিকার কাহিনী শুনলে কোনো মানুষই চোখের পানি আটকে রাখতে পারবে না। তার মায়ের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। একের পর এক কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্রদের এখন গ্রেফতার করে তাদের উপর পৈশাচিক উৎপীড়নের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনো আন্দোলনের পরিণতি কত ভয়ঙ্কর হতে পারে। সরকার প্রধান যে কত ভয়াবহ প্রতিশোধপরায়ণ হতে পারেন তার একের পর এক দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি আন্দোলনরত শিক্ষাথীদের ওপর নেমে আসা বর্বরতার নিদর্শন দেখে। এ অবৈধ সরকার রাষ্ট্র সমাজের সর্বত্র ঘৃণা ছড়াচ্ছে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।