পিকেআর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন আনোয়ার

মালাই মেইল: পাকাতান হারাপান (পিএইচ) সরকারের অধীনে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পিকেআর পার্টির আসন্ন আনুষ্ঠানিক নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারেন দলের ডি-ফ্যাক্টো প্রধান দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম।

অনেক পিকেআর তৃণমূল নেতারা মনে করেন, আনোয়ার ক্ষমতার লোভী নয় এবং সরকারের যেকোনো পদ গ্রহণের জন্য তার মধ্যে কোনো তাড়া নেই। যেহেতু, তিনি প্রধানমন্ত্রী তুন ড. মাহাথির মোহাম্মদকে পিএইচ-এর নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন করতে সময় দিতে চেয়েছেন।

১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির অধীন বারিসান ন্যাশনাল (বিএন) সরকারের সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল। বহু-জাতিগত দলটি এখন নতুন মালয়েশিয়া গড়ার জন্য দল-মত নির্বিশেষে অনেক মালয়েশীয়দের অনুপ্রাণিত করছে।

কারাগারে থাকাকালীন আনোয়ার ইব্রাহিমকে পিকেআর পার্টির ডি-ফ্যাক্টো চিফ হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অনুমিত ছিল যে তিনি পার্টির প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। কিন্তু ৯ মে’র সাধারণ নির্বাচনের পরেও তার জন্য এই সুযোগ হয়ে ওঠেনি।

মালয়েশিয়ার রাজা ডি-পারতোয়ান আগং তাকে ক্ষমা করে দিলে গত মাসে তিনি মুক্তি পান এবং এটি তাকে পুরোপুরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করেছে।

পিকেআর প্রেসিডেন্ট, যিনি আনোয়ারের স্ত্রী দাতুক সেরি ড. ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইলকে ড. মাহাথির তার সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ও পিকেআর ভাইস প্রেসিডেন্ট দাতুক সেরি আজমিন আলীকে অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন; যা আনোয়ারের অনুপস্থিতিতে পার্টির নেতৃত্ব ড. মাহাথির বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করেছে।

অনেক তৃণমূল সদস্যদের মতে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আনোয়ার কাউকে বিরক্ত করতে কিংবা ড. মাহাথির মন্ত্রিসভায় নিয়োগ পাওয়া কাউকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছেন না। কেননা মাহাথির তার মিশন সম্পন্ন করার পরেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন। তারা বলছেন, দুই বছর পর প্রধানমন্ত্রীর পদ আনোয়ারকে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং তারা বিশ্বাস করেন, ড. মাহাথির তার কথা রাখবেন।

তাদের মতে, পার্টিতে প্রেসিডেন্সি পদে তার ন্যায়সঙ্গত পদটি ফিরে পেতে আনোয়ার দলীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। হয়ত ওয়ান আজিজাহ এবং আজমিন যথাক্রমে প্রেসিডেন্স ও ডেপুটি প্রেসিডেন্স পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন। এটি পার্টির মধ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করবে এবং আনোয়ারের সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করবে।

Check Also

ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি

পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।