নিজস¦ প্রতিনিধি: পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতাসহ দু’জন নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি, তিন কেজি গাঁজা ও ২০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদরের বাঁশদহা কয়ারবিলের ব্রীজের পশ্চিমপাশের বেড়িবাঁধের নীচে কড়াই বাগানে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই মাদক ব্যবসায়ী হলেন সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে ও কেড়াগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (৪৫)। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, উপ-পরিদর্শক রিয়াদুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক সুমন, সহকারি উপ-পরিদর্শক মাজেদুল ইসলাম, সিপাহী রুবায়েত ও সিপাহী তুহিন।
নিহত দেলোয়ার হোসেনের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধা মা রওশানারার অভিযোগ, তার ছেলে কখনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো না। তার নামে কোন মামলাও নেই। পুত্রবধূ রওশানারা ছয় মাসের অন্ত:স্বত্বা। দেলোয়ারের একটি মেয়ে মীম বাঁশদহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। কুখ্যাত চোরাঘাট মালিক নাজমুল সাধারণ মানুষকে মাদক ব্যবসায়ি ও মাদকসেবী বানিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে পরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছাড়িয়ে আনত বলে অভিযোগ করেন তিনি। দেলোয়ার এর প্রতিবাদ করতো। এরই জের ধরে নাজমুলের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে বাঁশদহা বাজারের পাশে তার ছেলে নিজস্ব সুপেয় পানি তৈরির কারখানা থেকে দেলোয়ার ও কালামকে আটক করে পুলিশ। মাদক উদ্ধারের গল্প বানিয়ে তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে মায়ের অভিআেগ।
এদিকে নিহত কালামের ভাই জুলফিকারের অভিযোগ, তার ভাই কেড়াগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি কালামের বিরুদ্ধে বিজিবি’র দায়েরকৃত দু’টি মামলা রয়েছে। তাকে বাঁশদহা থেকে রাত ৮টার দিকে তুলে নিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকেলে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে, শনিবার রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।
তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি জানান, গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাদের দু’জনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে রোববার ভোর সোয়া ৫টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইকবাল মাহমুদ তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে ভারত থেকে ‘সেই মাদকের চালান’ এসেছিলো কীনা এবং দেলোয়ার ও কালাম আটক অবস্থায় কারা সেই মাদকের চালান নিয়ে আসছিলো তা বলেননি ওসি মারুফ আহমেদ।
তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি, তিন কেজি গাঁজা ও ২০ বোতল ফেন্সিডিল কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে রোববার বিকেলে লাশ দু’টি তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক অনুপ দাস বাদি হয়ে দেলোয়ার হোসেন ও আবুল কালাম আজাদসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনের ১৯(খ) ধারায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইকবাল মাহমুদ জানান, আবুল কালামের কপালের ডান পাশে ও দেলোয়ারের গলায় গুলি লেগেছে। রোববার ভোর ৫টা ১০মিনিটে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
000————-0——–0—-0
ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ: সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। এ সময় আহত হয়েছে ৫ পুলিশ সদস্য। পুলিশের দাবী
গুলিবিদ্ধ নিহত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তারা দুজনেই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রিয়াদুল, এএসআই সুমন ,এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে আজ রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।
তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি আরো জানান, গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
তাদের কাছ থেকে এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, আহত পুলিশ সদস্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
নিহত দেলওয়ারের পরিবাবের দাবী সে মটর সাইকেলে যাত্রী বহন করতো। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে বন্দুক যুদ্ধের কথা বলছে।