ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ মাদারীপুরের শিবচরে মোটরসাইকেলচালক আনোয়ার বেপারির হত্যার রহস্য উম্মোচিত হয়েছে। আতশবাজি ও পটকা জাতীয় বোমা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন আনোয়ার। তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলা হয় পদ্মায় এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে নেত্রকোনার কমলকান্দা থেকে গ্রেফতারের পর এ মামলার অন্যতম আসামি মনির ফকির পুলিশের কাছে এ চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।গ্রেফতার মনির ফকির শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের মাগুরখন্ড গ্রামের হাজী নুরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে।স্বীকারোক্তিতে মনির জানায়, এ হত্যাকাণ্ডে ১০-১২ জন জড়িত। ঈদের পাঞ্জাবি দেয়ার কথা বলে কৌশলে আনোয়ারকে ডেকে আনা হয়েছিল। তারপর হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের তোতা বেপারিকান্দি গ্রামের আনোয়ার বেপারি (আয়নাল-২৮) সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি নিয়ে একই এলাকার মনির ফকিরের গ্রুপের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে প্রভাবশালী আনোয়ার মনির গ্রুপের লোকদের মারধর করে।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ১৩ জুন রাতে ঈদের পাঞ্জাবি দেয়ার কথা বলে আনোয়ারকে ডেকে আনেন মনির, আতিকসহ ওই গ্রুপের ১০-১২ জন। এরপর প্রথমে আনোয়ারের গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে ট্রলারে উঠিয়ে ধারালো গ্রাফি দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ট্রলার যোগে মাঝ পদ্মায় হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয়া হয়।
১৫ জুন লাশটি ভেসে উঠলে পদ্মার মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের চায়না প্রজেক্টের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের মাথা ও গলায় ৩টি ধারালো অস্ত্রে আঘাতের চিহ্ন ছিল। লাশ উদ্ধারের দিনই আতিক ফকির নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার রাতে মনিরকে নেত্রকোনার কমলকান্দার নাজিরপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। মনির ধর্মীয় কাজে যাওয়ার নাম করে সেখানে পালিয়ে ছিল।
নিহত আনোয়ার উপজেলার কাঠালবাড়ির আইয়ুব আলী বেপারির ছেলে।
শিবচর থানার এসআই আমির হোসেন বলেন, পটকা ও আতশবাজি নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে ১২-১৫জন জড়িত। হত্যা ও জড়িতদের সব তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।
শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাজাহান মিয়া বলেন, মনিরকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে হত্যার রহস্যটি উম্মোচন হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। মনিরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।