ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার প্রসূতি মায়ের জীবন সংকটপূর্ণ
হওয়ার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রতিবন্ধী প্রসূতি মায়ের জীবন সংকটপূর্ণ হওয়ার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বামী জিয়ারুল ইসলাম। তিনি যশোর জেলার বেনাপোল উপজেলার খড়িডাঙ্গা গ্রামের মৃত. ছলেমান মোড়লের ছেলে।
সোমবার দুপুরে সংবাদ সমম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার প্রতিবন্ধী স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন গর্ভবতী হলে তাকে কলারোয়ার কাজির হাটে রহিমা নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। আমরা জানতাম না সেখানে কোন এমবিবিএস চিকিৎসক নেই। প্রয়োজন হলে বিভিন্ন স্থান থেকে ডাক্তার নিয়ে আসেন তারা। কিন্তু সে সময় ডাক্তার না পাওয়ায় ওই ক্লিনিকে সাবিনা নামক আয়ার সহযোগিতায় ক্লিনিকের মালিক জামায়াতের শীর্ষ কর্মী মাও ঃ হুমায়ুন কবির, কমপাউন্ডার আশরাফুল মিলে আমার প্রতিবন্ধী স্ত্রীর সিজার করে। সিজারে আমার একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। নবজাতক সুস্থ্য থাকলেও আমার প্রতিবন্ধী স্ত্রী বর্তমানে মৃত্যু পথের যাত্রী। আমার স্ত্রীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া তার সু-চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা আমার মতো অসহায় গরিব মানুষের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
লাইসেন্স বিহীন এসব অবৈধ ক্লিনিক অসহায় মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ক্লিনিকের কোন শর্ত না মেনেই তারা দিনে পর দিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর বলি হতে হচ্ছে আমার অসহায় স্ত্রীর মত অশংখ্য মানুষকে। তারা ক্লিনিকের সামনে একাধিক এমবিবিএস ডাক্তারদের নাম উল্লে¬খ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখে। অথচ আদৌ ওইসব ডাক্তার ক্লিনিকে নেই বা আসেন না। ওইসব ডাক্তারদের নাম ভাঙিয়ে ক্লিনিক মালিক এবং আয়া, ওয়ার্ডবয় দিয়ে চালানো হয় ক্লিনিক। আর মাঝে মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাদের ক্লিনিকে ভর্তি করে টাকা পয়সা আদায় করে নেয়। এসব রোগীদের একদিকে টাকা নষ্ট হয়, অন্যদিকে চিকিৎসার নামে চলে অপচিকিৎসা। ফলে তারা পৌঁছে যায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। তিনি আরো জানান, ওই ক্লিনিকে অবৈধ দেহ ব্যবসাও চলে। এব্যাপারে তিনি কলারোয়ার কাজীর হাটের রহিমা নার্সিং হোমটি দ্রুত বন্দ ঘোষনা ও অত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।