তরিকুল ইসলাম তারেক: যশোরে বৃদ্ধাকে ‘ধর্ষণ চেষ্টার করে শ্বাসরোধে হত্যার’ পর অভিযুক্ত ইরাদত আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তি এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ইরাদত খান সদর উপজেলার জগনাথপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এর আগে দুপুরে সদর উপজেলার জগনাথপুর গ্রামে গণপিটুনির শিকার হন ইরাদত।
যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়াৎ মাহমুদ জানান, দুপুরে ইরাদত ওরফে ইরাদ প্রতিবেশী মেহেরুন নেছা (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে ভাত রান্নার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর বিকাল থেকে ওই বৃদ্ধাকে খুঁজে না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ইরাদকে সন্দেহ করেন।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসার মুখে ইরাদত অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এতে উত্তেজিত হয়ে লোকজন তাকে মারপিট করেন। মারপিটের এক পর্যায়ে ইরাদত স্বীকার করেন, ওই বৃদ্ধার লাশ তার বাড়ির পাশে মুরগির ঘরে প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রয়েছে। পরে লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ সেখান থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে সোমবার রাত ১১টার দিকে গুরুতর অবস্থায় পুলিশ ইরাদতকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান পা ভাঙা ছিল।
এসআই হায়াৎ মাহমুদ আরও জানান, ইরাদত এলাকায় খুব খারাপ প্রকৃতির লোক বলে পরিচিত। বছরখানেক আগে তিনি একই এলাকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। মাস ছয়েক আগে হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।