নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সাংগঠনিক সম্পাদক বহু নারী কেলেঙ্কারীর হোতা আব্দুস সালাম যৌন মিলনরত অবস্থায় ধরা পড়ে উত্তম মধ্যম দিয়ে রফাদফার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পৌরসদরের শ্রীপতিপুর মোড়ে ইতালী ভবনে ঘটে।
স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালামের সাথে ইতালী টালী কারখানার ম্যানেজার আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী জেসমিন খাতুনের মধ্যে র্দীঘদিন অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। সেই সুবাদে ইতালী ভবনে যাতাযাত করতেন সালাম।
বিষয়টি স্থানীয়রা ভালভাবে মেনে নিতে না পারায় হাতে নাতে ধরার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন বহুদিন।
পরক্রীয়া মানে না বাঁদা, সেই মোতাবেক শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে আব্দুস সালাম মটর সাইকেল যোগে ওই বাড়িতে এসে ইতালী টালী কারখানার ম্যানেজারের স্ত্রী জেসমিনের রুমে শাররীক সম্পর্ক চলাকালে স্থানীয়দের হাতে ধরে খেয়ে উত্তম মধ্যম দিয়ে ঘরে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা ঘটনাস্থানে উপস্থিত হয়ে তার মাধ্যমে আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী জেসমিনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করে ধামাচাপা দেয়া হয়।
পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশের দু’ই জন এএসআই ঘটনাস্থানে উপস্থিত হলে আগে থেকে ছাত্রলীগ নেতা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই পুলিশদের ম্যানেজ করে আব্দুস সালামকে উদ্ধার করে অন্যস্থানে নিয়ে চলে যান।
নারী কেলেঙ্কারীর বিষয়টি মুহুতের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা মুখরিচ সংবাদে পরিনত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আবু সাঈদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে ব্যাক্তির দায় তো আর সংগঠন নিতে পারে না। তবে ছাত্রলীগের পদে থেকে যদি কোন কর্মী এমন জঘন্য কাজ করে থাকেন তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব বলে আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বহু নারী কেলেঙ্কারীর হোতা আব্দুস সালাম অতিতেও অনেক নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িয়ে ছাত্রলীগকে কুলশিত করার অপরাধে তার নামে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখে লিখি হয়। এমনকি নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের আছে। তাই অতিদূত সম্ভব নারী কেলেঙ্কারীর হোতা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপজেলা ছাত্রলীগসহ জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দর দৃষ্টি কামনা করেন সাধারণ ছাত্রলীগ নেতাবৃন্দ।
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,সাতক্ষীরা ব্যুরো চীপ,