নিজস্ব প্রতিনিধি:এম্বুলেন্সে করে যশোরের পথে রওনা হয়েছেন রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমান। তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হযেছেন। যশোর থেকে বিমানে তাকে ঢাকায় আনা হবে।
আমাদের কুষ্টিয়া সংবাদাতা জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ায় আদালত এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আদালত এলাকায় দীর্ঘ সময় তাকে ঘিরে রেখেছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা।
সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কুষ্টিয়ার সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু জানান, মানহানির একটি মামলায় জামিন নিতে আজ রোববার কুষ্টিয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাহমুদুর রহমান। উভয় পক্ষের শুনানির পর বিচারক এম এম মোর্শেদে জামিন আদেশ দেন।
৪-৫ ঘন্টা ধরে মাহমুদুর রহমান অবরুদ্ধ। সবাই কে জানানো হয়। আদালত, পুলিশ, মিডিয়া,…. কুষ্টিয়ার প্রশাসন!! কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। শেষ পর্যন্ত আদালতের ভেতরে মাহমুদুর রহমান উপর নৃশংস হামলা করেছে ছাত্রলীগ।এর আগে
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রা
প্ত সম্পা
দক মাহমুদুর রহমানকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের এজলাসে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ছাত্রলীগ। রোববার দুপুর ১২টা থেকে তিনি সেখানে অবরুদ্ধ আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষারের করা একটি মানহানি মামলায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিন নিতে কুষ্টিয়া আদালতে যান।
বেলা ১২টায় কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ ১০ হাজার টাকা জামানতে মাহমুদুর রহমানের স্থায়ীভাবে জামিন মঞ্জুর করেন। তার জামিন মঞ্জুর করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ছাত্রলীগ নেতারা আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং এজলাসের ভেতর তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনাসভায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু তার কন্যা শেখ হাসিনা ও নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্যে দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানি মামলা করেন।
ওই মামলায় রোববার আমার দেশ সম্পাদক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে স্থায়ী জামিনের আদেশ দেন।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তিনি আদালতের এজলাসে অবরুদ্ধ আছেন।