সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
অন্যের প্রায় দেড়শ’ বিঘা জমি পাঁচ বছর মেয়াদি বন্দোবস্ত নিয়ে তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে মাছ চাষ করছেন যশোরের কেশবপুরের মঞ্জুরুল আলম পলাশ। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে মাছের চাষ করতে পারছেন না জানিয়ে বলেন ওই এলাকার ইউপি সদস্য বাবুর আলি তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। এই চাঁদা না দেওয়ায় বাবুর আলি তাকে খুন খারাবির হুমকি দিচ্ছেন। এখন তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন মঞ্জুর আলম পলাশ। এ সময় তার সাথে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের আড়ংপাড়া গ্রামের মো. রাশিদুল হক, তৌহিদ শেখ, সাত্তার গাজি, সোহাগ গাজি, নুরালি গাজি, পারভেজ গাজি, জাহিদ শেখ, শাহিদ শেখ, হাফিজুল গাজিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুর আলম বলেন মাস খানেক আগে থেকে ইউপি সদস্য বাবুর আলি তার কাছে দুই লাখ টাকা চেয়ে আসছেন। এ এলাকায় মাছ চাষ করতে হলে তাকে এই চাঁদা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু চাঁদা দিতে না চাওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন ভুয়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ করিয়েছেন। এতে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিযেছেন। বাবুর আলি এতেই ক্ষান্ত হননি, তিনি পলাশের ঘের কর্মচারিদের মেরে ফেলারও হুমকি দিতে শুরু করেছেন। এসব কারণে মঞ্জুর আলম নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন যে গত বছর একইভাবে বাবুর আলি তার কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন। না পাওয়ায় গুন্ডা ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে তার ঘের লুট করে নিয়েছিলেন বাবুর আলি। এবারও বাবুর আলি একই পাঁয়তারা করছেন ঘেরটি দখলের জন্য। বাবুর আলির অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে মঞ্জুর আলম পলাশ বলেন তার বিরুদ্ধে তালা সহকারি পুলিশ সুপারের দফতরে নানা অভিযোগ করেছিলেন এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে ১৫ টিরও বেশি অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন বাবুর আলি এখন চার স্ত্রীর এক স্বামী। তিনি এখন তার চাচীকে বিয়ে করে পাটকেলঘাটায় বাসা ভাড়া করে থাকেন। এর আগে তার দোস্তের মাকেও বিয়ে করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন, ছিনতাই, লুট, চুরি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তিনি বলেন বাবুর আলি তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ঘের ব্যবসায়ী মঞ্জুর আলম পলাশের বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে সংবাদ করিয়েছেন। মঞ্জুর আলম এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। একই সাথে তিনি মামলাবাজ ও চাঁদাবাজ বাবুর আলির কবল থেকে রক্ষা পেতে ও এসবের প্রতিকার পাবার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …