অভয়নগরে মিঠা পানির দেশি প্রজাতির মৎস বিলুপ্ত প্রায় ————বৃষ্টির ছড়া

প্রভাষক বি.এইচ.মাহিনী, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ;
যশোরের অভয়নগর উপজেলা দক্ষিণাঞ্চলের নদী বিধৌত একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। অত্র উপজেলায় রয়েছে ৪টি শাখা ও উপনদী, অসংখ্য খাল-বিল, দুটি বৃহৎ বাওড় ও কয়েকটি দিঘি। এককালে এ উপজেলা থেকে মৎস রপ্তানী হতো বলে জানা যায় মুরব্বিদের কাছ থেকে। উপজেলার মৎস চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত মাছ রপ্তানি হতো যশোর-খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন শহর-বন্দরে। অথচ এখন মিঠা পানির মাছের প্রাদূর্ভাব দেখা যায় প্রায় বছর জুড়েই।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ভবদহ বিল ও হিদিয়ার বাহিলডাঙ্গা বিল মিঠা পানির মাছের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও বুনোরাম নগর, পাচুড়িয়া, বাঘুটিয়া, শিবনগর, সিংগাড়ী ও জয়খোলা গ্রামের সীমানায় বিল ভুড়বুড়িয়াসহ ছোট খাটো কয়েকটি বিল রয়েছে। এ সকল বিলের মধ্য দিয়ে কয়েকটি খাল প্রবাহিত হয়েছে। খালটি একদিকে ভৈরব নদ অন্যদিকে নড়াইলের সিংগা-শোলপুর স্লুইস গেটে গিয়ে মিশেছে।
যার ফলে বিল ভুড়বুড়িয়াসহ আশে পাশের ছোট খাটো বিল গুলোতে দেখা মিলতো হরেক রকমের দেশি প্রজাতির মাছ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কৈ মাছ, পুটি মাছ, সরপুটি, শিং, মাগুর, বোয়াল, শোল, গজাল, পাবদা, তারা বাইন, বাইলে এমনকি রুই কাতলা পর্যন্ত।
কিন্তু বর্তমানে এ সকল দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপÍ প্রায়। বিলুপ্তির কারণ অনুসন্ধানে উপজেলা মৎস অফিস ও স্থানীয় মৎসজীবীদের কাছ থেকে জানা যায়, বর্তমানে বোরো ধানসহ সব ধরণের ফসলে প্রচুর পরিমাণে কিটনাশক ব্যবহার করা হয়। যার ফলে প্রতি বছর অগণিত মাছ মরে যায়। কিটনাশকের বিষক্রিয়া ও ঘন ঘন ঘের-বেড়ি’র ফলে দেশিয় মিঠা পানির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। কীটনাশকের প্রভাবে বেশিরভাগ মাছই হারিয়ে ফেলে প্রজনন ক্ষমতা। যার ফলে এ সকল বিল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ। মৎস ও কৃষি বিভাগের প্রতি এলাকাবাসীর দাবি, দেশিয় মিঠা পানির এ সকল মাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহণ করা হোক।
এ ব্যাপারে মৎস অফিসের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, একমাত্র গণসচেতনতাই পারে অপার সম্ভাবনার দেশিয় মিঠা পানির এ মাছের প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে।

 

————————————————————————————————————————-

বৃষ্টির ছড়া

বর্ষায় ডুব

–প্রভাষক বি এইচ মাহিনী

রিমঝিম বৃষ্টিতে খাল-বিল থৈ থৈ,
চ্যাং লাফে কুপকাৎ; কৈ কই, কৈ কই?
কাদামাটি হরদম; কেউ নাই কেউ নাই,
লাফালাফি ঝাপাঝাপি ভয় নাই, ভয় নাই।
ও পাড়ার ভিটে মাঠে; ফুটবল ফুটবল,
দল বেঁধে চলে আয়, হাঁটুজল হাঁটুজল।
শালিকের ছানাগুলো; বর্ষায় ভিজে ভিজে,
রথমেলায় ওঠাতে, দুষ্টুরা খুঁজে ফিরে।
জলপ্রুভ পিন্দে; ছুটে চলে অবিরাম,
অফিসের ভয়ে তাই, জপে যায় রাম রাম!
টোঁপরে মাথা ঢেকে; কৃষাণেরা বিলে ঝিলে,
মাছ ধরে মত্ত, জেলেরা জাল ফেলে।
অভূক্ত, অনাথেরা ধুকে ধুকে মরছে,
মহাজন দুলালের ভুড়ি-ধন বাড়ছে।

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।