ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: পতিতালয় শব্দটি শুনলে হয়তো অনেকের মনে নানা প্রশ্ন ভিড় করে। কিন্তু যৌনকর্মীদের জীবন নিয়ে লেখা হয়েছে সাহিত্য তৈরি হয়েছে ছবিও। বলিউডও পিছিয়ে নেই তাতে। যৌনকর্মীদের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য পতিতালেয়কে কেন্দ্র করে অভিনয করতে হয়েছে বহু নায়িকাকে। ছবিতে তাদের পতিতালয়ে দেখা গিয়েছে।
কারিনা কাপুর খান: চামেলি ও তালাশ ছবিতে কারিনার তুখোড় অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকদের। চামেলি ছবিতে বাস্তবসম্মত অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসাবে ফিল্ম ফেয়ার সম্মান পান কারিনা।
রানি মুখোপাধ্যায়: সঞ্জয় লীলা বন্সালীর ‘সাওয়ারিয়া’ ও প্রদীপ সরকারের ‘লাগা চুনরি মে দাগ’ দুইটি ছবিতেই রানির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে সমালোচকদের কাছে। দ্বিতীয়টির জন্য সেরা অভিনেত্রীর ফিল্ম ফেয়ার সম্মান পান রানি।
শর্মিলা ঠাকুর: ‘অমর প্রেম’ ছবিতে রাজেশ খান্নার বিপরীতে শর্মিলা ঠাকুরের অভিনয় আজও ভোলেনি দর্শক। ‘পুষ্পা আই হেট টিয়ারস’ সংলাপটি এখনও বেশ জনপ্রিয়।
শাবানা আজমি: শ্যাম বেনেগালের ‘মান্ডি’ ছবিতে রুক্মিনী বাই নামে এক যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সাবলীল অভিনয়ে মেলে জাতীয় পুরস্কার।
তব্বু: ‘চাঁদনি বার’ ছবিটি মু্ম্বইয়ের অপরাধ জগতের উপর নির্মিত। ছবিতে মুমতাজ নামে এক যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তব্বু।
কাল্কি কোয়েচলিন: ‘দেব ডি’ ছবিতে চন্দ্রমুখীর চরিত্রে ‘মডার্ন অ্যাডপটেশন’-এ অভিনয় করেছিলেন কাল্কি। পেয়েছিলেন ফিল্ম ফেয়ার সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার।
ঐশ্বর্য রাই: ‘উমরাও জান’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্য। বিপরীতে ছিলেন অভিষেক বচ্চন। ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে বেশি দিন না চললেও প্রশংসিত হন ঐশ্বর্যা।
সুস্মিতা সেন: চিঙ্গারি ছবিতে যৌনকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করেন সুস্মিতা। ছবিটি একেবারেই সাড়া ফেলেনি বাণিজ্যিকভাবে। তবে প্রশংসিত হয় সুস্মিতা অভিনীত ‘বাসন্তী’।
হুমা খুরেশি: ‘বদলাপুর’ ছবিতে যৌনকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করেন হুমা খুরেশি। ছবিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল হুমার চরিত্রটি।
প্রীতি জিন্তা: ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ছবিতে প্র্রীতি জিন্তা অভিনয় করেন এক যৌনকর্মীর ভূমিকায়। ছবিতে সালমান খানের সন্তানের ‘সারোগেট মাদার’ হিসাবে দেখা গিয়েছিল তাকে।