ক্রাইমবার্তা রিপোট: বরগুনা জেলার আমতলীতে-কলাপাড়া মহাসড়কে বাস-সিএনজি মাহেন্দ্রা সংঘর্ষে শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে আমতলীর মানিকঝুড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে।
নিহতদের নাম জানা গেছে। তারা হলেন-উপজেলার তারিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছালমা বেগম (৪০), তালতলী উপজেলার চাঁন মিয়া (৪৮), শানু মৃধা (৪০), জসিম মৃধা (৪০), বনি আমিন (৬) ও মাহেন্দ্রা চালক হানিফ।
আমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুয়াকাটা থেকে বরিশালগামী ‘আল্লাহ ভরসা’ পরিবহনের একটি বাস আমতলীর মানিকঝুড়ি এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাহেন্দ্রর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মহেন্দ্রর ৬ যাত্রী নিহত হন।
এ ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে দশজন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, আল্লাহ ভরসা পরিবহনের (পটুয়াখালী গ-১১-০০৩০) একটি বাস কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল। পথে আমতলীর মানিকজুড়ি এলাকায় আমতলী থেকে তালতলির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি থ্রি-হুইলারের সঙ্গে এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই থ্রি-হুইলারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় দুর্ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। অন্যদের আহত অবস্থায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে আরও দুইজন মারা যান। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে অবস্থা গুরুতর দেখে থ্রি-হুইলারের চালক হানিফকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে তাকে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে একটি শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছে, যাদের নাম-পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।