ক্রাইমবার্তা রিপোট:: পাকিস্তানে বুধবারের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সর্বদলীয় সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দেশটির মুত্তাহিদা মাজলিস-ই-আমলের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান।এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কারচুপির এই নির্বাচন সব দলের কাছেই অগ্রহণযোগ্য। তাই দ্রুতই একটি সম্মেলন ডাকা হবে।এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলই আপত্তি উত্থাপন করেছে।
প্রথম আপত্তি তোলে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ। দলটির নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেব দাবি করেন, বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রে তাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ, পাকিস্তান পিপলস পার্টি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি অভিযোগ করেছে- ভোট গণনা ও ফল ঘোষণায় নির্বাচন কর্মকর্তারা পরিকল্পিত কারচুপি করেছেন।
অনানুষ্ঠানিক ঘোষণায় ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি এককভাবে ১২২টিরও বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। দলটির পেছনে মাত্র ৫৫টি নিয়ে রয়েছে মুসলিম লীগ-নওয়াজ।
পাঞ্জাবে ৭৫টি অ্যাসেম্বলি আসন পেয়েছে ইমরানের দল। সেখানে দুটি আসন কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নওয়াজের পিএমএল। শাহবাজ শরিফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তানজুড়ে তারা ভোটে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন। অন্য দলগুলোও একই অভিযোগ তুলেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, সুস্পষ্ট ও ব্যাপক অনিয়মের কারণে পিএমএল-নওয়াজ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ৪৫টি আসনে আমাদের এজেন্ট ঢুকতে দেয়া হয়নি। ফল দিতে বিলম্ব করা হয়েছে। কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের অনুপস্থিতিতে ভোট গণনা করা হয়েছে।
এসবকে তিনি অগ্রহণযোগ্য, অসহনীয় বলে মন্তব্য করেছেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলওয়াল ভুট্টোও একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। যেটি ক্ষমার অযোগ্য ও নীতিবিগর্হিত।
পিপিপির অভিযোগ, ফল ঘোষণার সময় তাদের এজেন্টদের সেখানে থাকতে দেয়া হয়নি। এজেন্টদের ভোটের ফল না দিয়ে সেখানে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।করাচিতে সংবাদ সম্মেলনেও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টও একই অভিযোগ করেছে। প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে বিক্ষোভ করার হুমকি দিয়েছে দলটি।
জামায়াত উলামা-ই-ইসলাম-ফজলসহ মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল(এমএমএ) নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। রুদ্ধ কক্ষে বসে নির্বাচনের ফল কারচুপির অভিযোগ করেছেন তারা।
বেসরকারি ফলাফলে এগিয়ে ইমরান খানের দল নয়া দিগন্ত অনলাইন ২৬ জুলাই ২০১৮, ১২:৫১ বেসরকারি ফলাফলে এগিয়ে ইমরান খানের দল – সংগৃহীত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে দুইশ ৭২টি আসনের মধ্যে বেসরকারিভাবে একশ ৮৫টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এগিয়ে রয়েছে। ডন নিউজ বলছে, ইমরান খানের দল এখন পর্যন্ত ৮৪টি আসনে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছে। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে নওয়াজ শরিফৈর দল পিএমএল-এন। দলটি পেয়েছে ৫৮টি আসন। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পেয়েছে ছয়টি আসন, মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল পেয়েছে আটটি আসন এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ২৯টি আসন। এদিকে দিনের শুরুতে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ৩৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আরো অন্তত ৬৭ জন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, ইতোমধ্যেই ইমরান খানের সমর্থকরা উদযাপন শুরু করেছেন।