ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ রোববার তার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জয় লিখেছেন, ‘আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হবে। সিলেটেও আমরা সামান্য এগিয়ে। তবে সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, তিনি নির্বাচনের আগে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিন সিটিতে এ জরিপ করান। এই জুলাই মাসেই জরিপটি পরিচালনা করা হয় বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর তনয়।
আরডিসির করা জরিপে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাজশাহীতে। সেখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মোট ভোটের ৫৮ শতাংশ ভোট পেতে পারেন।
আর বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পাবেন ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। ১ হাজার ২৯৪ জন ভোটার অংশ নেন এ জরিপ কাজে অংশ নেন।
জরিপে দেখা গেছে, বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোটার।
বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান সারোয়ারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। বরিশালে জরিপে মোট ১ হাজার ২৪১ জন ভোটার অংশ নেন।
তবে জরিপের তথ্য অনুযায়ী সিলেটে তুমুল প্রতিদ্বন্ধীতা হবে বলে বলা হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৩৩ শতাংশ ভোট পেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।
আর বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পাবেন ২৮ দশমিক ১ শতাংশ। জরিপে অংশ নেন ১ হাজার ১৯৬ জন ভোটার।
এই গবেষণার পদ্ধতি এবং জরিপের কৌশলগত নানা দিকও তুলে ধরেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘পাঁচ বছর ধরে আরডিসির মাধ্যমে আমি জনমত জরিপের কাজ করছি। তারা যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন এবং যে ফলাফল বেরিয়ে আসে, সেসব গবেষণা থেকে তা নির্ভুল।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, তবে এও ঠিক, এবার যে জরিপের ফল তুলে ধরলাম, তাতে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ, এ জরিপ হয়েছে মাসজুড়ে। আর এর মধ্যে তুমুল নির্বাচনী প্রচার হয়েছে। গত রাতে সে প্রচার শেষও হয়েছে।
জয় আরো উল্লেখ করেন, তাই ফলাফলে কিছু হেরফের হওয়া আশ্চর্যের কিছু না। তবে আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হবে। সিলেটে আমরা সামান্য এগিয়ে। তবে সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
দলের কর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রতি সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, গাজীপুরের নির্বাচনের সময় বিএনপির নেতাদের টেলিফোন কথোপকথনের কথা আমরা জানি। তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছে যে তাদের জেতার কোনো অবস্থা নেই। তাই তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করে আওয়ামী লীগকে বিপদে ফেলতে চায়।