ক্রাইমবার্তা রিপোট ::সাতক্ষীরা :সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একজন মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক নিজের ঘরে নিজেই আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও মিথ্যে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার ভদ্রখালী গ্রামের শেখ আতিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ জাহিদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার চাচা মৃত আরশাদ আলীর ছেলে শেখ রবিউল ইসলামের সাথে আমাদের বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে রবিউল প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আমাদের রেকডীয় সম্পত্তি দখল করে ভোগদখলের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে রবিউল গংরা আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর, আমাকেসহ বড় ভাই, ভাবি, বোন ও বৃদ্ধ বাবা মা’কে মারপিট করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলার চেষ্টা করলে পুলিশ রবিউলের নাটক বুঝতে পেরে তাকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোন ভাবেই আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে না পেরে রবিউল তার দুঃসর্ম্পকের এক আত্মীয় মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের নামে মিথ্যে মামলা দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই জের ধরে গত ২৭ জুলাই রাতে মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন তার নিজের একটি বিছলির ঘরে নিজেরাই আগুন দিয়ে পরদিন আমাকে ও আমার ভাই জহির উদ্দিন, অবুজার, আনিছুর রহমান ও হাফিজুর রহমানের নামে একটি মিথ্যে পিটিশন মামলা দায়ের করে। এছাড়া সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগে পত্রিকায় একটি মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায়। যা সম্পূর্ন মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরো বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে রবিউলের সঙ্গে। ওই মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিনের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। তাহলে আমরা কেন তার ঘরে আগুন দিতে যাবো। তাছাড়া ওই মামলার আসামি আমার ভাই জহির উদ্দিন ঢাকায় একটি ব্যাংকে চাকুরি করে। এছাড়া বাকি তিন ভাইরাও ঢাকায় বসবাস করে। মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন প্রতিপক্ষ রবিউলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেই বিছলির ঘরে আগুন দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা চালিয়েছেন। তাছাড়া আমাকে জামায়াত-শিবির বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধ কর্তৃক নিজের ঘেরে আগুন দেয়ার ঘটনায় প্রতিকার দাবি করে আমি কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি দরখাস্ত করি। সংসদ সদস্য রিফাত আমিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমার ওই দরখাস্তে সুপারিশ করেন। তিনি রবিউল ও মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন কর্তৃক মিথ্যে নাটকের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।