ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে এর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তিন সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন ভোট দেয়ার সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এজন্য কমিশন সব কিছু করবে উল্লেখ করে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করা হবে।
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩০৬টিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের দিন এসব কেন্দ্রের প্রতিটিতে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার থেকে তিন শহরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসারের ২৫০টি নিরাপত্তা দল ভ্রাম্যমাণ বা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ১১৭টি দল, র্যাবের ৮৭টি দল এবং বিজিবির ৪৮ প্লাটুন সদস্য ভ্রাম্যমাণ বা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে চার দিন মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া, সোমবার হতে যাওয়া তিন সিটি নির্বাচনের দিন প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জনের একটি দল মোতায়েন করা হবে। সাতজন সশস্ত্র পুলিশ, তিনজন সশস্ত্র ব্যাটালিয়ন আনসার, দুজন সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার এবং ১২ জন আনসার/ভিডিপি সদস্য লাঠিসহ দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ সদস্যের নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্বে থাকবে বলে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে তিন সিটি করপোরেশনের ৩৯৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩০৬টিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ১৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১৪টি, সিলেট সিটি করপোরেশনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮০টি এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১২টি ‘গুরুত্বপূর্ণ’।
এদিকে, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সিটির ৮৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একজন করে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ১ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, তিন সিটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি জানান, নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার এবং র্যাবের দুই শতাধিক দলকে ভ্রাম্যমাণ বা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে।
পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজশাহীতে ১৯ প্লাটুন, বরিশালে ১৫ প্লাটুন এবং সিলেটে ১৪ প্লাটুন করে মোট ৪৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে।
নির্বাচন তত্ত্বাবধানের জন্য বর্তমানে রাজশাহীতে অবস্থান করা শাহাদাত হোসেন ইউএনবিকে বলেন, সেখানে নির্বাচনী পরিবেশ বেশ ভালো এবং বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী সিটিতে তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন, সিলেটে তিন লাখ ২১ হাজার ৭৩৬ জন এবং রবিশালে দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন ভোটার রয়েছেন।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ পাঁচজন মেয়র পদে এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬০ জন ও নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশালে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বিএনপির মজিবর রহমান সরওয়ারসহ সাতজন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৫ জন ও নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন নির্বাচনী দৌঁড়ে সামিল হয়েছেন।
সিলেটে আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীসহ সাতজন মেয়র পদে এবং ২৭টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৭ জন ও সংরক্ষিত ৯টি কাউন্সিলর পদ ৬৬ জন নারী নির্বাচন করছেন।
নির্বাচনী এলাকাগুলোতে শুক্রবার মাঝরাত থেকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। অন্যদিকে শনিবার মাঝরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। এখন সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হতে যাওয়া ভোট গ্রহণের অপেক্ষা চলছে।-ইউএনবি
নির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়ম বা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের যেকোন ধরনের শৈথিল্য বরদাস্ত করা হবে না বলেও তিনি জানান। সচিব জানান, গাজীপুরের মতো এই তিন সিটিতেও ভোট গ্রহণ পরিস্থিতির তথ্য তাৎক্ষণিক জানার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে দু’ঘণ্টা পরপর প্রয়োজনীয় সার্বিক তথ্য কমিশন সচিবালয়কে জানাবেন। কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট বা সিল মারার ঘটনা ঘটলে বা তথ্য পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে কমিশন। ভোট কেন্দ্রে কোনো অঘটন বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তারা এসএমএসের মাধ্যমে কমিশনকে জানাবেন। এক্ষেত্রে কমিশন ঢাকায় বসে এসব এসএমএসের তথ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। হেলালুদ্দীন জানান, ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট কার্যক্রমের গতি-প্রকৃতি, ভোটার, প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকদের গতিবিধি এবং সর্বোপরি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনসহ সব কিছু সাধারণ পোশাকে ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করবেন ইসির নীরব পর্যবেক্ষকরা। প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখলে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করা এবং প্রয়োজনে তারা কমিশনকেও ঘটনার তথ্য জানাবেন। এছাড়াও নির্বাচনের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে থেকে তিন সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের একটি টিম এবং প্রতি দুটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে ১৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরা নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। আরো ৪ প্লাটুন করে বিজিবি রিজার্ভ রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান। আচরণবিধি দেখভাল করতে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৪ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ২৪ দিন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিন সিটিতে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। ১০ জুলাই থেকে ১ আগস্ট এই ২৩ দিন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিন সিটিতে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। এছাড়া নির্বাচনের দুই দিন আগে থেকে পরদিন পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি সিটিতে ২০ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আজ থেকে পরবর্তী চার দিন রাজশাহী ও বরিশালে ১০ জন করে এবং সিলেটে ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৬ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। কমিশন সূত্র জানায়, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। এ নির্বাচনে ভোটের আগের দু’দিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকছে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্র পাহারায় ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। বাকি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মো. শফিকুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরাদ মোর্শেদ (হাতী)। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির মো. মজিবুর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ওবায়দুর রহমান মাহবুব (হাতপাখা), বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ (কাস্তে), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তী (মই) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল)। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (হাতপাখা), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের-বাসদ মো. আবু জাফর (মই) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসান মাহবুব জোবায়ের (টেবিল ঘড়ি), মো. এহসানুল হক তাহের (হরিণ) ও মো. বদরুজ্জামান সেলিম (বাস)। তিন সিটিতে ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজশাহী সিটিতে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১৩৮টি ভোট কেন্দ্র ও ১ হাজার ২৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে। বরিশাল সিটিতে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১২৩টি ভোট কেন্দ্র ও ৭৫০টি ভোট কক্ষ রয়েছে এবং সিলেট সিটিতে ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১৩৪টি ভোট কেন্দ্র ও ৯২৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে। সচিব জানান, আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশালে ১০টি, রাজশাহীতে দুইটি ও সিলেটে দুইটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। রাজশাহী সিটিতে সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বরিশালে মুজিবুর রহমান ও সিলেটে মো. আলিমুজ্জামন রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।