ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকার দলের সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডে নগরবাসী হতবাক। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে নৌকা মার্কার পক্ষে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরা হয়। সরকার দলীয় ক্যাডাররা ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ৫০টি কেন্দ্র দখল করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এক প্রহসনের নির্বাচন করেছে।
তারা ব্যালট পেপার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নৌকায় সিল মারতে থাকে। এসব কেন্দ্রে আমার ঘড়ি মার্কার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। মারপিটে আহত হয়েছেন অর্ধশত কর্মী। পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের অবস্থা গুরুতর । এসব ঘটনা সিলেটের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির রাজনীতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সুচনা করেছে। বেলা ১২টার দিকে জরুরি প্রেস ব্রিফিংকালে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন নাগরিক ফোরাম মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ও নগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকালে দিনের শুরুতেই সিলেট সিটি নির্বাচনে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করতে থাকে সরকার দলের প্রার্থীর লোকজন। সকালে সাড়ে ৮টার দিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের এমসি কলেজ কেন্দ্র, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের লামাবাজার কেন্দ্র ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জালালাবাদ আবাসিক এলাকার দুটি কেন্দ্র থেকে টেবিল ঘড়ি মার্কার এজেন্টদের বের করে দেয় ছাত্রলীগ।
সেখানে দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয় বলেও জানান সেখানে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা। এরপর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরবাজার কেন্দ্র থেকে টেবিল ঘড়ির এজেন্টকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় বের করে দেয়া হয়, মীরাবাজার জামেয়ার এজেন্ট রুমেল আহমদের বাড়িতে তল্লাশী চালানো হয়, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের স্কলার্সহোম কেন্দ্রে ভোটারদের শুধু কাউন্সিলারদের ব্যালট দেয়া হলেও মেয়রদের ব্যালট দেয়া হয়নি, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাদীপুর হাতিম আলী বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ঘড়ির এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়, বাগবাড়ী বর্ণমালা স্কুলে ছাত্রলীগ নেতা বিধান কুমার সাহার নেতৃত্বে কেন্দ্র দখল করা হয়, পাঠানটুলা জামেয়া কেন্দ্রে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রুম্মান আহমদের নেতৃত্বে ঘড়ির এজেন্টকে হেনস্থা করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়, সেখানে জাল ভোট দেয়া হলে জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ঝেরঝেরী পাড়ায় রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র জবরদখল করে নেয়, উপশহর শাহজালাল স্কুলে ১১টার ভেতরেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়।
খাসদবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দখল করতে গিয়ে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগ। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সাবেক এমপি শফিক চৌধুরীর নেতৃত্বে দখল করে নেয়া হয়। হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে সেখানে ছাত্রলীগ একাই ভোট দেয়।
Check Also
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে : অ্যাটর্নি জেনারেল
র্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল …