ছাত্রলীগ ঢাবি ক্যাম্পাসে নিজেদেরকে কর্তৃপক্ষ ভাববেন না : ছাত্রলীগকে ঢা‌বি প্রক্টর

ক্রাইমবার্তা রিপোট:  ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে নিজেদেরকে ‘কর্তৃপক্ষ’ না ভাবার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাম্পাসের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে প্রক্টর অফিসে গে‌লে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ ক‌রে এমন কথা ব‌লেন তি‌নি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগেরর বিদ্যমান কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সসহ কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী‌দের সা‌থে বাড়াবা‌ড়ি না কর‌তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার পক্ষ থে‌কে ছাত্রলীগ‌কে নির্দেশ দেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী ল‌ী‌গের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দের।

এদিকে, আলোচনাকালে সাইফুর রহমান সোহাগ ও এস এম জাকির হোসাইন ক্যাম্পাসের বিরাজমান পরিস্থিতির বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী‌কে বলেন, ক্যাম্পাসে দুই-আড়াই ঘন্টা যাবৎ নিপীড়নবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর নামে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চরিত্র হরণ করা হচ্ছে। এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর জন্য তারা অনুমতি নিয়েছে কিনা। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে বহিরাগতদের প্রবেশ ও শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এ সময় প্রক্টর ব‌লেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব নিয়‌মে চল‌বে। কিন্তু আপনারা কেউ যেন নি‌জে‌দের‌কে কর্তৃপক্ষ না ভা‌বেন।

প‌রে প্রক্টর সাংবাদিকদের বলেন, আমি তাদের (ছাত্রলী‌গের) অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি এবং তাদেরকে লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছি। তারা লিখিত অভিযোগ জমা দিলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আর যারাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আমাদের সহযোগিতা করবে আমরা তাদেরই সাধুবাদ জানাবো।

আরো পড়ুন :
কোটা বিষয়ে সংবিধানের অবস্থান
ইকতেদার আহমেদ, ৩০ জুলাই ২০১৮
‘কোটা’ একটি ইংরেজি শব্দ। ইংরেজিতে কোটার সমার্থক প্রপোর্শন্যাল শেয়ার, যার বাংলা অর্থ আনুপাতিক অংশ। ইংরেজি কোটা শব্দটি দীর্ঘ দিন যাবৎ বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দ হিসেবে ব্যবহারের ফলে এটি অনেকটা প্রচলিত বাংলা শব্দ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে বর্তমানে ব্যাপকভাবে সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। বাংলায় কোটা বলতে আমরা আনুপাতিক অংশ বা নির্দিষ্ট ভাগ বুঝলেও আক্ষরিকভাবে আমরা সব সময় বলনে ও লিখনে কোটা শব্দটিকেই ব্যবহার করে আসছি। আমাদের সংবিধানে কোথাও স্পষ্টভাবে কোটার বিষয় উল্লেখ না থাকলেও নারী বা শিশুদের অনুকূলে বা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের অগ্রগতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভের জন্য প্রচলিত নীতি ও অধিকারের ব্যত্যয়ে বিশেষ বিধান প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি অন্যতম মূলনীতি হলো সুযোগের সমতা। এ বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯ এর দফা (১)(২) ও (৩)-এ পর্যায়ক্রমিকভাবে বলা হয়েছে- ০১. সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হবে। ০২. মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ সুবিধা দান নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ০৩. জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।

সংবিধান প্রণয়নকালীন অনুচ্ছেদ ১৯ দফা (১) ও (২) সমন্বয়ে গঠিত ছিল। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদটিতে দফা (৩) সন্নিবেশিত হয়।

বাংলাদেশের সংবিধানে যেসব অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, সে সব অধিকার বলবৎ করার জন্য সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২ এর দফা (১) অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের কাছে মামলা রুজু করার অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এ অধিকারটি যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বলবতের দাবি করে প্রতিকার চাইতে পারে যদিও রাষ্ট্র পরিচালনার যেকোনো মূলনীতির কারণে অনুরূপ অধিকারবঞ্চিত ব্যক্তিকে সমসুযোগ দেয়া হয়নি।

সংবিধানে মৌলিক অধিকারবিষয়ক যে দু’টি অনুচ্ছেদে বিশেষ বিধান প্রণয়নের বিষয় উল্লিখিত হয়েছে, এর একটি হলো অনুচ্ছেদ ২৮, যা বিভিন্ন কারণে বৈষম্যবিষয়ক এবং অপরটি অনুচ্ছেদ ২৯ যা সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতাবিষয়ক। উপরোল্লিখিত দু’টি অনুচ্ছেদের মধ্যে প্রথমোল্লিখিতটির দফা (৪) এবং শেষোক্তটির দফা (৩)(ক) বিশেষ বিধান প্রণয়নবিষয়ক যা ভাবার্থগতভাবে কোটা প্রথা সংরক্ষণের সপক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করে।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮ এর দফা (৪) এ বলা হয়েছে- নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন হতে এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না। অপর দিকে অনুচ্ছেদ ২৯ এর দফা (৩) (ক) এ বলা হয়েছে- এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশ যাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারে, সে উদ্দেশ্যে তাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না।

আমাদের দেশে বর্তমানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী ছাড়া সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রথা মেনে চলা হয়। বর্তমানে কোটা হারের যে বিভাজন তা হলো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনী শতকরা ৩০ ভাগ, নারী ১০ ভাগ, জেলা ১০ ভাগ, উপজাতি ৫ ভাগ, প্রতিবন্ধী ১ ভাগ সর্বমোট ৫৬ ভাগ।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমাজের যেকোনো অনগ্রসর বা অবহেলিত বা বঞ্চিত অংশ বা শ্রেণীর দেশে বা সমাজে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোটা প্রথা মেনে চলতে দেখা যায়। এটি একটি সাময়িক ব্যবস্থা এবং কোটা প্রথার সুফল ভোগ পরবর্তী যখন যেকোনো অনগ্রসর বা অবহেলিত বা বঞ্চিত অংশ বা শ্রেণীর উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভের অবকাশ ঘটে, তখন এর হার কমিয়ে আনা হয় বা ক্ষেত্রবিশেষে রহিত করা হয়।

আমাদের দেশে কোটা প্রথা প্রবর্তনকালীন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি এর অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয় পরবর্তী সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা ৩০ ভাগ কোটা রাখার পেছনে যে যৌক্তিক কারণ ছিল তা হলো- মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটে এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তাদের অনেকের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের কারণে পরিবারগুলো যে ক্ষতির মুখোমুখি হয় তা পূরণকল্পে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা বা আনুকূল্য অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে। এ পৃষ্ঠপোষকতা বা আনুকূল্যের কারণে কোটা প্রথার সুবাদে নির্ধারিত যোগত্যাধারী মুক্তিযোদ্ধারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে চাকরির সুযোগ লাভ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে চাকরি থেকে অবসরের বয়স অপরাপরদের চেয়ে এক বছর বেশি করার কারণে তারা বর্তমানে ৬০ বছরে উন্নীত হওয়া পরবর্তী অবসরে যান।

মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন ও সহায় সম্পদের মায়া বিপন্ন করে আত্মত্যাগের অভিপ্রায় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের কেউই বিনিময় প্রত্যাশী ছিলেন না এবং চাকরি কোটা বা বয়স বাড়ানো কোনোভাবেই তাদের আত্মত্যাগের সাথে তুল্য নয়। যে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও চেতনাকে লালন করে মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে মুক্ত করার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তা ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিবাহিত হলেও আমরা যেমন উপরোল্লিখিত চেতনাকে লালন করে এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে সমর্থ হইনি অনুরূপ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা নাতি-নাতনীরা সমচেতনায় একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ এ নিশ্চয়তা কি তাদের সবার কাছে পাওয়া সম্ভব? এ বাস্তবতায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা নাতি-নাতনীদের জন্য কোটা সংরক্ষণের অবকাশ আছে কি না, সে প্রশ্নটি এসে যায়। তা ছাড়া, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা নাতি-নাতনীদের অনগ্রসর বা অবহেলিত বা বঞ্চিত অংশ বা শ্রেণী বলার অবকাশ আছে কি না, এটি ভাবার বিষয়। আর যদি অবকাশ না-ই থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮(৪) ও ২৯(৩)(ক) আকৃষ্ট করার সুযোগ কোথায়?

নারী ও জেলা নামে বর্তমানে ১০ ভাগ করে যে ২০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করা হয় তা দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা বা আনুকূল্য লাভের কারণে উভয় শ্রেণীর অনগ্রসর বা অবহেলিত বা বঞ্চিত অবস্থানের উত্তরণে তাদের প্রধান শ্রেণীর সমপর্যায়ে নিয়ে এসেছে বা আসার উপক্রম ঘটিয়েছে।

উপজাতি নামে প্রারম্ভিক অবস্থায় যে কোটা প্রথা প্রবর্তিত হয়েছিল তা বর্তমানে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করে। উপজাতিরা দীর্ঘদিন কোটার পৃষ্ঠপোষকতা বা আনুকূল্য ভোগ করে আসতে থাকলেও তাদের সমপর্যায়ের অপর তিন গোষ্ঠী সেভাবে পৃষ্ঠপোষকতা বা আনুকূল্য লাভ করেনি। আর তাই অপর তিন গোষ্ঠী যেন উপজাতিদের সাথে সমবিবেচনায় নিজেদের অনগ্রসরতা বা অবহেলা বা বঞ্চনার অবসান ঘটাতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সচেষ্ট হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

কোটা প্রথা প্রবর্তনকালীন প্রতিবন্ধী নামীয় কোটা ছিল না। প্রতিবন্ধীদের কোটায় অন্তর্ভুক্ত করে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য বা পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটির চিরস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ বা সক্ষমতা অনুযায়ী তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে শতকরা ৫৬ ভাগ যদি কোটা প্রথার জন্য সংরক্ষণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় কৃতকার্য হওয়া মেধাবীরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রার্থিত চাকরি লাভে ব্যর্থ হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় দীর্ঘ দিন ধরে কোটা প্রথার পৃষ্ঠপোষকতা বা আনুকূল্যে একজন কোটাধারী যেখানে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ন্যূনতম নম্বর পেয়ে চাকরি লাভের সুযোগ পায়, সেখানে ন্যূনতম নম্বর হতে শতকরা ১০ ভাগের অধিক নম্বর প্রাপ্ত হয়েও অনেক কোটাবহির্ভূত মেধাবীর চাকরি লাভের সুযোগ ঘটে না। এ বৈষম্য যেকোনো মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীর জন্য মর্মবেদনা ও পীড়াদায়ক।

সংবিধান ও আইন মেনে চলা দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য কর্তব্য। কোটা বিষয়ে সংবিধানের যে অবস্থান তা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘ দিন ধরে কোটা প্রথা অনুসৃত হওয়ার সুবাদে কোটাধারীদের অবস্থানের উত্তরণ ঘটেছে। এমতাবস্থায় উপরোল্লিখিত আলোচনার আলোকে সামগ্রিক বিবেচনায় কোনো কোটার সম্পূর্ণ বিলোপ, কোনোটির সংস্কার আবার কোনোটির সংরক্ষণের দাবি রাখে।

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

Check Also

ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নদীসহ ৪ জন কারাগারে

নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শামসুন্নাহার হল শাখার সাবেক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।