-
বিবিসি: রাজধানী ঢাকায় বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, তাদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে অবরোধ তুলে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। গত রোববার দুপুরের দিকে একটি বাসের চাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর ব্যাপক বিক্ষোভ হয় ঢাকায়।
আজ বুধবার তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা, ফিটনেস বিহীন গাড়ী চলাচল না করা, লাইসেন্স-বিহীন গাড়ীর অনুমোদন না দেয়া সহ নয়টি দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
এর প্রেক্ষাপটে আজ স্বরাষ্ট্র, নৌ ও তথ্য মন্ত্রণালয় সচিবালয়ে এক জরুরি বৈঠক করে।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, “আমি অনুরোধ করবো আমাদের সবার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অবরোধ তুলে নিবেন। এবং তারা আবারও ক্লাসে ফিরে আসবেন, পড়াশোনায় মনোযোগী হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা জোর গলায় বলছি দোষীরা সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে পায় যে জন্য সরকার ব্যবস্থা নিবে। আর তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের কাছে যে দাবী গুলো পৌঁছেছে সেগুলো সবই মেনে নিয়েছি, সেগুলো সবই যৌক্তিক। পর্যায়ক্রমে আমরা সবগুলোর ব্যবস্থা নিবো।”
ঢাকায় গতকাল রাস্তায় বেশ কিছু বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল চরম।
আজকেও রাস্তায় বাস চলাচল সীমিত রয়েছে বলে সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন।
গাড়ি ভাংচুর-অগ্নি সংযোগ সম্পর্কে যা বললেন মন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২৯ তারিখে ১৫০ টি গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছে, ৩০ তারিখে ২৫ টি গাড়ি, ৩১ তারিখে ১৩৪টি গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছে।
গাড়ি পোড়ানো হয়েছে আটটি, এর মধ্যে পুলিশের এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “এই যে কোমলমতী ছাত্ররা অবরোধ করছে এই সুযোগে স্বার্থন্বেষী মহল এই ভাংচুর এবং গাড়ি পুড়ানোর কাজ গুলো করছে।”
“কোনো-ক্রমেই ফিটনেস-বিহীন, লাইসেন্সবিহীন এবং রুট-পারমিটবিহীন কোনো গাড়ি আমরা আমাদের শহরে চলতে দেব না” বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
এসময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন।