সাতক্ষীরায় নিজের ঘরে আগুন দিয়ে প্রশাসনকে ধোকা দেয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কালিগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন কর্তৃক তার দুই চাচাতো শ্যালককে জামায়াত-শিবির বাননোর অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার ভদ্রখালী গ্রামের শেখ আতিয়ার রহমানের ছেলে শেখ জাহিদুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় একটি কলেজে পড়ালেখা করি। কালিগঞ্জ উপজেলার ভদ্রখালী মৌজার জে.এল-৫৪, সাবেক এস.এ-৩৩২ খতিয়ানের হাল ডিপি-১৮ এর সাবেক ৮১০ ও ৮১১ দাগে এবং হাল ১২৯৬ দাগের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর বসতবাড়ি, বিল্ডিং এবং পাশে একটি বিশাল বাঁশ বাগান গত প্রায় ৫৩ বছর ধরে আমরা ভোগ দখল করে আসছি। আমরা তিন শরিক সামান ভাগ বুঝে নিয়ে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় হঠাৎ শিবিরের বর্তমান সেক্রেটারী শেখ এবাদুল ইসলাম, রবিউল ও বোনাই মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বিষয়টি শান্তিপূর্ন মিমাংসার জন্য গত ৪ জুন সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯১৮ নং মামলা করে ডিপি-১৮ খতিয়ানের হাল ১২৯৬ দাগের উপর ১৪৫ ধারা জারি করি। একই সাথে গত ১৮ জুন থানায় সাধারণ ডায়েরী করার পাশাপাশি সিভিল ৭৫/১৮ নং মামলা দায়ের করি। কিন্তু আইনকে তুচ্ছ করে প্রতিপক্ষ রবিউল গংরা আমাদের দখলীয় বাঁশ বাগান থেকে জোরপূর্বক ৭’শ বাঁশ কেটে নেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বোনাই মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিনের আপন শ্যালক শেখ রবিউল ইসলাম তার পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে নিয়ে সুখে বসবাস করছিল। কিন্তু হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন সরদার রবিউল ও শিবিরের সেক্রেটারী এবাদুল ইসলামকে শেল্টার দিয়ে বাঁশ বাগান ধ্বংস করার পাশাপাশি আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করার অপরাধে রবিউল ও এবাদুলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপরও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। পরে দখল করতে গিয়ে ১৪১/১৮ নং কেসে রবিউল ও শিবির নেতা এবাদুল গেফতার হয়। শেখ রবিউল জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসে প্রতিশোধ নিতে বোনাই মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিনের সাথে যোগসূত্র করে গভীর রাতে নিজের একটি বিচলীর ঘরে অগুন দেয়। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার শক্তি অপব্যবহার করে মহিউদ্দিন প্রতিপক্ষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য তিনি গত ৩১ জুলাই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উদোর পিন্ড বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছেন মাত্র। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার ভাই জহির উদ্দিন কখনো সরকার বিরোধী কোন কাজের সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি ও আমার ভাইয়েরা ২০০২ সাল থেকে ঢাকায় থাকি। অথচ আমার আপন চাচাতো বোনাই হওয়া স্বত্বেও মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আমাদেরকে জামায়াত-শিবির বানানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে তার তৃতীয় ছেলে তৌহিদুল ইসলাম শিবির সেক্রেটারী শেখ এবাদুলকে সাথে নিয়ে ২০১৩ সালে সরকার পতনের আন্দোলনে সরাসরি জড়িত ছিল। বর্তমানে মাদ্রাসার সার্টিফিকেট নিয়ে সে শিবিরের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছে। মহিউদ্দিন নিজের ঘরে আগুন দিয়ে প্রশাসনকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি এব্যাপারে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Check Also

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।