মসিয়াররহমান কাজল বেনাপোল: যদি সুন্দর একটি মন পাইতাম সদর ঘাটেরের পানের খিলে তারে খাওয়াই তাম।এখনো মানুষের খুখে মুখে শুনা যাই সদর ঘাটের খিলে পান নিয়ে গুন গুন করে গাওয়া গানের শুর।এক সময় ঢাকার সদর ঘাটের পান ছিল বিখ্যাত। সেকালে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে পানের সুখ্যাতি
পান নিয়ে নানা গল্প করতেন প্রবীণরা। এমনকি সিনেমা, থিয়েটারের স্ক্রিপ্টেও স্থান পায় এই পানের গল্প কাহিনি। বন্ধুর ভালোবাসা দিতে ও পেতে পানের খিলি দিয়ে সমাদর করা হতো।
আজ আর সেই সদর ঘাটের পানের সুখ্যাতি না থাকলেও কালের আবর্তে পানের সুখ্যাতি এখন বেনাপোলে রোড চেকপোষ্টে।ছোট্ট একটি পানের দোকান, নাম মনু পান ভাণ্ডার।
দোকানদার মনোয়ার হোসেন( মনু) পানের খিলি বিক্রি করতে করতে পানের প্রতি তার ভালোবাসা এবং তার তৈরি খিলি পানের প্রতি ক্রেতাদের ভালোবাসা আজ স্থল বন্দর বেনাপোল সহ উপজেলার গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। তার তৈরি পানের খিলির স্বাদ আর গন্ধ ক্রেতাদের হূদয় কেড়েছে।
এ দোকানের পান খেতে সকাল-সন্ধ্যা ভিড় জমায় ক্রেতারা।
তার দোকানের চারপাশেই রয়েছ বেশ কয়েকটি পরিবহন।
তার দোকানের পানের খিলির ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ। আর এ স্বাদের রয়েছে হরেকরকম নাম এবং নাম বিশেষ দাম।
৫ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত প্রতি খিলি পানের দাম এখানে। অমিতাপ বচ্চন পানের খিলির দাম ১৫ টাকা, বৌরানী মিষ্টি পান ২০ টাকা, নবাব পান ১০ টাকা ও ওডিনারি পান ৫ টাকা। গত ১৮ বছর ধরে এ দোকানে পানের খিলি বিক্রি করে আসছে বলে জানান মনোয়ার হোসন মনু মিয়া।
তিনি জানান, প্রতিদিন তার দোকানে ৩ শ’ থেকে ৪ শ’ পানের খিলি বিক্রি হয়। কোনো কোনো সময় বিয়ে বাড়িতেও তার পানের খিলির অগ্রিম অর্ডার থাকে। তবে বিয়ে বাড়ি তিনি পান দিয়ে থাকেন বউরানী মিষ্টি পানের খিলি।এছাড়া ভারত বাংলাদেশ ভ্রমন কারী পাসপোট যাত্রীরা এই মনু মিয়ার পান ভাণ্ডার থেকে সু-স্বাদু হরেকরকমের পান নিয়ে থাকেন বাসা বাড়িত।
বেনাপোল সীমান্তে ভ্রমণ করতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের মনু পান ভাণ্ডারের এক খিলি পান না খেলে যেন ভ্রমণ অসমাপ্ত থেকে যায়।
ভারতের বিভিন্ন রকমারি মসলা ব্যবহার করাতেই তার পানের খিলি এত সুস্বাদু। তাছাড়া ভারতীয় বাবা জর্দা-১২০, ৩০০, ৬০০ এবং সুরভী জর্দা পানের খিলিতে ব্যবহার করে থাকেন তিনি। আর মিষ্টি পানে ব্যবহার করে থাকেন চমন বাহার জর্দা।
চৌগাছা উপজেলায় পান চাষিদের নিজস্ব জমিতে খৈল ব্যবহার করে উদপাদিত এ পানের স্বাদ খুবই বেশি।
সেখান থেকে আনা হয় এ সব পান।তার এ পানের খিলি একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে। মনু পান ভাণ্ডারে পানের খিলি কিনতে আসা ক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন তিনি ২০টি পানের খিলি খেয়ে থাকেন, যা এখান থেকেই কেনেন।