মোঃহোসেন
ক্রাইমবার্তা; পোল্ট্রি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে সাতক্ষীরার শহীদুল। বর্তমানে সে এলাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সাতক্ষীরা সদর থানার লাবসা ইউনিয়নের উত্তর দেবনগর গ্রামে তার খামার। ২০টি পোল্ট্রির নিয়ে শুরু করা খামারে বর্তমানে ৬ হাজার প্রেল্ট্রি মুরগী। লাভেরও মুখ দেখতে শুরু করেছে সে। তার খামার দেখে এলাকার অনেকেই এখন মুরগী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
শহীদুলের নিজস্ব কোন পৈতৃক সম্পত্তি ছিল না। অন্যান্যের জমিতে কাজ করে তার সংসার চলত। এতে তার পরিবারে সারা বছরই অভাব অনাটন লেগে লাথক। একমাত্র ছেলের পড়াশুনার খরছ জোগাড় করতে তাকে হিমশিম খেতে হয়।
এক পর্যায়ে তিনি প্রতিবেশিদের দেখা দেখিতে প্রেল্ট্রি মুরগী চাষে আগ্রহী হন। তার স্ত্রী শাকিলা বেগমের পারিবারিক ভাবে পালন করা ১১ টি দেশি হাঁস বিক্রি করে ২০১৫ সালে ২০টি মুরগীর বাচ্চা নিয়ে রান্না ঘরের এক কোনে তিনি শুরু পোল্ট্রি চাষ শুরু করেন। সেখান থেকে তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি । পোল্ট্রি চাষের লভ্যাংশ দিয়ে প্রতি বছর বাড়তে থাকে তার ফার্মরে পরিধি । বর্তমানে তিনি পোল্ট্রি মুরগীর জন্য ৩ টি পৃথক ঘর করেছেন। সেখানে তিনি ৬ হাজার মুরগীর বাচ্চা চাষ করছেন।
মুরগীর ফার্ম দেখাশোনার জন্য তার স্ত্রী শাকিলা বেগম নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান প্রতি মাসে দুই বার ৫০০ মুরগী ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করেন। এতে তার লাভ হয় প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ হিসাবে বছরের সমস্থ খরচ খরচ বাদ দিয়ে নিট লাভ হয় ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। আজ তিনি তার ছেলেকে ভালোভাবে স্কুলে পড়াশোনা করাতে পারছেন ।
তিনি দেবনগর এলাকাতে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী হিসাবে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। তার দেখা দেখি ঐ গ্রামে ২০ থেকে ২৫ টি ফার্ম গড়ে উঠেছে এবং অন্যান্য খামারের মালিকেরা শহিদুল ও শাকিলা বেগমের কাছ থেকে নিয়মিত পরামার্শ নিয়ে থাকেন।
শহিদুল ইসলাম বলেন , এ পর্যায়ে আসতে গিয়ে কোন ধরনের লোন নিতে হয়নি। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন। পোল্ট্রি ব্যাবসার পাশাপাশি আগামীতে মাছ চাষ করার পরিকল্পনা আছে তার।