ক্রাইমবার্তা রিপোট:
ভারতের বিপক্ষে এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে দারুণ বল করেন বেন স্টোকস। তবে লর্ডস টেস্টে কোহলিদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হচ্ছে না স্টোকসের। এমনকি ইংলিশ অলরাউন্ডার যে ঝামেলায় পড়েছেন তাতে বড় শাস্তির মুখোমুখিও পড়তে পারেন তিনি। ব্রিস্টলের এক আদালতে যে বেন স্টোকসের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছে।
ওই শুনানির জন্যই বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া লর্ডস টেস্ট খেলা হচ্ছে না স্টোকসের। আর শুনানি থেকে বের হওয়া কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ভড়কে দিচ্ছে স্টোকসকে। এই তথ্যগুলো প্রমাণিত হলে বড় সমস্যায় পড়তে পারেন তিনি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিস্টলে এক নাইটক্লাবের বাইরে স্টোকসের মারপিটের কথা মনে আছে নিশ্চয়। দুই ব্যক্তির সঙ্গে মারপিট করেন তিনি। গত মার্চে তাকে নিঃশর্ত জামিন দিয়ে বিচারের পরবর্তী দিন ৬ আগস্ট ধার্য করা হয়েছিল। সোমবার আদালতের শুনানিতে প্রসিকিউটর নিকোলাস করসেলিস বলেন, আত্মরক্ষার খাতিরে স্টোকস মারামারি করেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নাইট ক্লাবের বাইরে দুই সমকামীকে মারধরের ভিডিওচিত্র দেখিয়ে প্রসিকিউটর জানান, সেদিন রাত ২টা ১০ মিনিটে ঘটনার শুরু। এর আগে একবার ক্লাব থেকে বের হয়ে ঘণ্টা দেড়েক পর আবারও ক্লাবে ঢুকতে চান স্টোকস। এ সময় তার সঙ্গে জাতীয় দলের সতীর্থ অ্যালেক্স হেলসও ছিলেন। সে সময় তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া ক্লাবের নিরাপত্তাকর্মীকে দুই দফা ঘুষ দিতে চান স্টোকস। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় রেগে যান তিনি।’
সেই নিরাপত্তাকর্মীই বলেন, রাগে স্টোকস ওই দুই সমকামী ব্যক্তির সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেন। সেখানে থাকা রায়াল আলি এবং রায়ান হেইলের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্টোকস এবং হেলস। এক পর্যায়ে হেলসকে মারতে হাতের বোতল উঁচিয়ে ধরেন আলি। তখনই তাকে ঘুষি মেরে ফেলে দেন স্টোকস, এরপর রায়ান হেইলকেও। স্টোকসের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যান হেইল।
প্রসিকিউটর করসেলিস আদালতে রায়ান হেইলের অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যদি প্রথম ঘুষির পরই স্টোকস থেমে যেতেন, তবে আজ এই মামলা চালানোর দরকার হতো না। কিন্তু আত্মরক্ষার জন্য আঘাত এবং প্রতিহিংসার জন্য কাউকে আঘাত করা আলাদা বিষয়। প্রথমবার স্টোকস আত্মরক্ষা করলেও পরেরটা ছিল প্রতিহিংসা।’