ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: ঢাকা : নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ১০ আগস্ট শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, সরকারি দলের সিদ্ধান্তেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের ছত্রছায়ায় হেলমেট ও মুখোশ পরে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, কিরিচ, রামদা নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর অমানবিক ও বর্বোরোচিত হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের মারপিট করেছে। দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন হোস্টেল ও আবাসস্থলে গিয়ে ছাত্রদের মারপিট করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। এসব কিছুই ঘটেছে পুলিশের চোখের সামনে এবং তাদের সহযোগিতায়। ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন, এসব আক্রমণ নাকি বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা করেছেন। এ দেশের এমন কোনো পাগলও নেই যে তারা বিশ্বাস করবে যে পুলিশের সহায়তায় এবং তাদের সামনে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মারপিট করবে, দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের কোপাবে, ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ অফিস আক্রমণ করবে আর তাদের গ্রেফতার করা হবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হেলমেট পরা ও মুখোশধারী আক্রমণকারীরা ছাত্রলীগ-যুবলীগকর্মী ছিল এটি আহত সব সাংবাদিক এবং ছাত্রছাত্রীরা বলার পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের বিচার করার জন্য নাম চান। এমন বাজে রসিকতায় তিনি আনন্দ পেতে পারেন কিন্তু দেশবাসী লজ্জিত হয়।
তিনি বলেন, পত্রিকায় আক্রমণকারীদের অনেকেরই ছবি ছাপা হয়েছে, কোনো কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণকারীদের ছবির ছড়াছড়ি থাকার পরও অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য ওবায়দুল কাদের কেন ছবি ও নাম চান?
‘কেন তথ্যমন্ত্রীকে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাতে হয়। কি বিচিত্র এই দেশ। আর বিচিত্র বলেই তারা অপরাধ করে তার দায় চাপানোর চেষ্টা করছে আমাদের ওপর।’ মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে আক্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে সরকারি অপচেষ্টার অংশ হিসেবে দৈনিক জনকণ্ঠে তিন বছর আগের একটি ছবি ছাপিয়ে জনমত বিভ্রান্ত করার জন্য পত্রিকাটি ইতিমধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করেছে। এতে সরকার ও তার সমর্থকদের থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে।