ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিগত ৬ মাসে ১৩ শতাধীক মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিচারাধীন রয়েছে আরও ২ হাজারের অধীক মামলা। জানুয়ারী’১৮ হতে জুন’১৮ পর্যন্ত নিষ্পত্তিকৃত ওই সব মামলার বেশিরভাগ আসামী খালাস পেলেও সাজা হয়েছে অনেকের। তবে আপোষ-মিমাংসা এবং দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসার কারণে অনেক আসামী আইনের মারপ্যাচে অব্যাহতি পেয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন ওই আদালত দায়িত্বরত পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুন’১৮ পর্যন্ত ছয় মাসে ওই আদালতে নিষ্পাত্ত করা হয়েছে ১,৩৩০টি মামলা। নিষ্পত্তিকৃত এসব মামলার মধ্যে নারী-শিশু মামলা রয়েছে ৮৫০টি, মানব পাচার ২৯টি এবং পিটিশন মামলা ৪৫১টি। এছাড়া ওই আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে আরও ২,১৯৪টি মামলা। এসব মামলার মধ্যে নারী-শিশু মামলা ১,৫৭১টি, মানব পাচার ১৩১টি, পিটিশন ৪৯০টি এবং সিভিল রিভিশন মামলা ২টি।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী বশির আহম্মেদ বাবু জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই আদালতে বিচারক না থাকার কারনে মামলার জট সৃস্টি হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান বিচারক হোসনে আরা আক্তার যোগদানের পর চলতি বছরের শুরু থেকে নারী-শিশু আদালতে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ বিচার পেতে শুরু করেছেন। তিনি আরও জানান, অনেক মামলায় দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসার কারণে আইনের মারপ্যাচে অনেক অপরাধী অপরাধ করেও আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবী জানান, রাষ্ট্র পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত পিপি এড. জহুরুর হায়দার বাবু নিয়মিত ফুল টইম কোর্ট না করার কারণে অনেক সাক্ষী আদালতে এসেও সাক্ষী না দিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন। তবে স্পেশাল পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু আইনজীবীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোর্টের এপিপি অ্যাড. নাদিরা পারভীন নিয়মিত কোর্ট করেন এবং তিনি যেসব মামলায় সাক্ষী আসেন, সেসব সাক্ষীকে অবশ্যই আদালতে উপস্থাপন করেন।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …