ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:জনশ্রোত এখন বিএনপির দিকে তাই সরকারের বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার পথে বিএনপি। পাশাপাশি দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে রাজপথে নামার পরিকল্পনা করছে দলটি।
আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করার টার্গেট করা হয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে আরও মতামত নিতে ডাকা হতে পারে ৫০২ সদস্যের নির্বাহী কমিটির বৈঠক।
এসব পরিকল্পনার রূপরেখার খসড়া চূড়ান্ত করতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ সকাল ১১টায় মুলতবি বৈঠকে বসছেন দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি সদস্যরা।
এর আগে শনিবার ৬ ঘণ্টা বৈঠক শেষে তা মুলতবি করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের তৃণমূল থেকে পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখার একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেছেন নীতিনির্ধারকরা।
এটি আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত হওয়ার পর লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হবে। তার সবুজ সংকেত পেলেই সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হবে।
এদিকে দলটির একজন নীতিনির্ধারক জানান, বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যে সম্মত হয়েছে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ, আ স ম আবদুর রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ও কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
কয়েকটি বাম দলের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। এছাড়াও ঐক্যে ২০ দলীয় জোটকে রাখার বিষয়েও এ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে বিএনপি।
এক্ষেত্রে শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ড. কামাল হোসেন ও বি চৌধুরীর আপত্তির বিষয়টি সমাধানের পথে রয়েছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির ওই নীতিনির্ধারক বলেন, ঐক্যের ক্ষেত্রে জামায়াতকে নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না আশা করছি।
সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী হবে- এর খসড়া প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হবে। ঐক্য প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট এক নেতা বলেন, খসড়ায় নির্বাচনী জোট হলে জোটের সম্ভাব্য নাম কী হতে পারে তাও উল্লেখ থাকবে। তার জানামতে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’- প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে।
আরও জানা গেছে, বিএনপির নীতিনির্ধারকদের দীর্ঘ এই বৈঠকের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের খসড়া ও আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণের খসড়া চূড়ান্ত করা। শনিবার প্রথম দিনের বৈঠকে এসব বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারকরা তাদের নিজেদের মতামত দেন।
ওই বৈঠকে থাকা এক নেতা জানান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কী ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যতে নেয়া যায় সে বিষয়টি প্রথমদিনের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিব এবং ৭৮ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের দেয়া পরামর্শও বিচার-বিশ্লেষণ করে আগামী দিনের কর্মকৌশল নির্ধারণ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে প্রথম দিনের বৈঠকে।