ক্রাইমবার্তা রিপোট: মনি: সদর থানার ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) শরিফুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠায় সোমবার তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানান, ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে বেপোরোয়া হয়ে উঠে। বিভিন্ন এলাকা থেকে জমিজমাসহ বিভিন্ন অভিযোগ গুলো তিনি নিজের দায়িত্ব নিয়ে রাখতেন। অভিযোগ পেয়ে চলতো তার খেলা। নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে আসছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মাধপকাঠি ও ঝাউডাঙ্গা এলাকায় তার নিজস্ব লোক দিয়ে টাকা আদায় করে আসছিল। ঝাউডাঙ্গা বাজারের স্বর্ণকার দেবালয়কে কোন কারণ ছাড়াই আটক করে থানায় আটকে রাখে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি পর্যন্ত নেই। তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের জয় ঘোষ নামের এক যুবককে আটক করে। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আটকের কোন কারণ তিনি বলতে পারেননি। পরে তার কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। ঝাউডাঙ্গা বাজারের দুই ব্যবসায়ি তাদের দোকান ঘর মেরামত করেন। নিজের ঘর মেরামতের অভিযোগে ইন্সেপেক্টর শরিফুল ইসলাম তাদের দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আটক রাখে। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সদরের বয়ারখোলা গ্রামের দুই স্কুল শিক্ষকের জমি থেকে আম পেড়ে নিয়ে আসে তার লোকজন। ওই আম তিনি বাসায় নিয়ে যান। ওই জমি দখলের সহযোগিতা দিয়ে টাকা নেন তিনি। তিনি সদর উপজেলার বিহারিনগর গ্রামের এক পরিবারের সাথে ধর্ম আত্মীয় করেছেন। ওই বাড়িতে তিনি যাতায়ত করে থাকেন। এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান শরিফুল ইসলামের ক্লোজড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। তবে তাকে কি কারনে ক্লোজড করা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …