আশাশুনির খোলপেটুয়ায় নতুন এলাকা প্লাবিত: জেলা প্রশাসকের ঘটনা স্থল পরিদর্শন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :আশাশুনিতে থানাঘাটায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার ৩ দিনেও বাঁধা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙন এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। ভাঙনকৃত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি ওঠানামা করায় এখন ১০গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে শতশত মানুষ রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে দ্বিগুন উৎসাহে ভাটা নামতেই তারা বাঁশ ও মাটির বস্তা নিয়ে কাজে নেমে পড়ছেন। বুধবার জোয়ারের আগেই বাঁধটি আটকানোর লক্ষ্যে মানুষ দিনের বেলা ও রাতে জেনারেটর জ্বালিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি হিসেবে ৯ গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪শ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্ধী হয়ে আছে থানাঘাটা, হাজরাখালী, বকচর, বিলবকচর, হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, ঢালিরচক, বুড়াখারআটি, দক্ষিণ পুইজালা ও মহিষকুড় গ্রাম। মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বহুমুখী ঘুর্নিঝড় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২০টি পরিবার। তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানাগেছে। দু’শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ী ধ্বসে পড়ে এবং পানিবন্ধী মানুষ খাবার পানি সংকটে ভুগছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামের পাউবো’র ৪ নং পোল্ডারের পাঁড়–ইপাড়ার জামাল মাষ্টারের মৎস্য ঘের সংলগ্ন ৫০ ফুটাধিক বেড়িবাঁধ হঠাৎ ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যায়। মুহুর্তের মধ্যে জোয়ারের পানি তীব্র বেগে ভেতরে প্রবেশ করে থানাঘাটা, বিলবকচর, ঢালীরচক ও পুঁইজালা ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়। সন্ধ্যায় ভাটায় পানি সরা কালিন ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ফুটের অধিক আকার ধারন করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুহেনা সাকিল এ প্রতিবেদককে জানান, গত শুক্রবার থেকে শ্রমিক লাগিয়ে নিজ উদ্দোগে মেরামত করে যাচ্ছি। সরকারিভাবে কোন বরাদ্ধ বা আশ্রায়হীনদের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়নি। মঙ্গলবার রাতের জোয়ারের আগে পানি রক্ষা বাঁধ আটকানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তিনি সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপসহ প্লাবিত এলাকার আশ্রায়হীন মানুষের সাহায্যে সরকার ও এনজিওদের সহযোগিতা কামানা করেন।

Check Also

৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।