ক্রাইমবার্তা রিপোট: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ মিনিটের জন্য দেখা করার সুযোগ চেয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক ব্যস্ত, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে কাজের চাপে অনেক ব্যস্ত থাকেন। তারপরও তিনি যদি ১০ মিনিট সময় দেন তাহলে কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে চাই।
কামাল বলেন, এই দুটি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সাধারণ যে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে ছেড়ে দিন। প্রয়োজনে আমি আপনার পা ধরতেও রাজি আছি। আপনার পা ধরে নিবেদন করতে চাই গ্রেফতার করা শিক্ষার্থীদের আপনি মুক্তি দিন।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংহতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সভার আয়োজন করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ প্রমুখ।
কোটা সংস্কার এবং সড়ক নিরাপত্তা চাওয়া অন্যায় নয় উল্লেখ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে বিনীত আবেদন আপনি উদারতার পরিচয় দিন। গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিন। সামনে ঈদ। ঈদ উপলক্ষে আপনি সবাইকে মুক্তি দিন।
তিনি বলেন, একাত্তরের পর অনেক স্বৈরাচারই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু টিকতে পারেনি। স্বৈরাচারী কায়দায় কখনোই ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। আগামী ৩ বছর পর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। আসুন এই ৩ বছরের মধ্যে আমরা এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেখানে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না এবং যে উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে তা বাস্তবায়িত হয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যারা আছেন তাদেরকে জণগণের সেবক হিসেবে দেশ শাসন করা উচিৎ। সবাইকে মালিক হিসেবে একত্রে দাঁড়াতে হবে। আসুন আমরা এই ঈদে এই বাণী নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাই এবং সকলকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করি।