জমে উঠেছে কেশবপুরে পশুর হাট

কেশবপুর যশোর প্রতিনিধি:   পবিত্র ঈদ উল আযহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে কেশবপুরে পশুর হাট। কোরবানীর পশু কেনা-কাটায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়ার মত। কেশবপুর পৌর শহর ও সরসকাটি পশুহাটসহ উপজেলার সাতবাড়িয়া, চিংড়া, বগা, ভান্ডারখোলা বাজারসহ মোট ৬টি পশুর হাট বসেছে। এসব হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশি গরু বাজারে রয়েছে যথেষ্ট। দু’একটি ভ্রাম্যম্যাণ পশু হাটে ভারতীয় গরু দেখা গেলেও পৌর শহরের পশু হাটে ব্যতিক্রম দৃশ্য চোখে পড়ে। এখানে শুধু দেশি খামারে পালিত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ায় পরিপুর্ণ হয়ে গেছে।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদ-উল আযহা। যার হাওয়া লেগেছে কেশবপুরের পশু হাটে। সাপ্তাহিক হাট বার হিসেবে সোম ও বুধবার  সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতাদের জমজমাট বেচা-বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় গরু না থাকায় এসব হাটে এবছর দাম গত বছরের তুলনায় একটু বেশি। এতে সন্তষ্ট খামারী ও দেশি গরু ব্যবসায়ীরা। লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্য পাওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে না খামারীদের। একইভাবে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পশু কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিক্রিতেও রয়েছে প্রতিযোগিতা। এ বছর পশু হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। উপজেলা সদরের পশুহাট মালিক তরিকুল ইসলাম বলেন, অন্য বারের তুলনায় এবার প্রচুর পরিমানে দেশী গরু ছাগল ও মহিষ ভেড়া আমদানি হয়েছে। বেচা বিক্রিও অনেক বেশি।
কেশবপুরের পশুহাটটি অনেক পুরাতন একটি হাট। এটি যশোর সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পশুহাট হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন থাকাসহ বাজারের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাগণ আসছেন এবং নির্ভয়ে বেচা-কেনা করছেন। প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে ২ হাজার গরু বিক্রি হচ্ছে। ৩০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা দামের গরু বাজারে এসেছে। গ্রামগঞ্জের মানুষ শেষ মুহুর্তে কেনা-কাটা করে থাকে। তাই শেষ মুহুর্তে  আরো বেশি পশু বিক্রি হওয়া এবং বাজার আরো জমজমাট হওয়ার আশা করছেন তিনি।
উপজেলার বারুইহাটী গ্রাম থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, বাজারে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরু বিক্রি বেড়েছে। বেশি বেশি গরু বিক্রি হওয়ায় আমরা খুশি। কোরবানীর পশু কিনতে আসা অনেকেরই অভিযোগ, অন্য বছরের তুলনায় এবছর পশুর দাম অনেক বেশি। ভারতীয় গরু না আসার অজুহাতে দেশি গরুর আকাশ ছোঁয়া দাম হাকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গরুর দাম বেশি থাকার কারণে অনেকে ছাগল কোরবানী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 
মণিরামপুর থেকে আসা ক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় পশুর দাম বেশি  হওয়ায় এখানে এসেছি কিন্তু, এখানেও অনেক দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। দাম বেশি হলেও অসংখ্য পশুর মধ্য থেকে তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই পশুটি কিনতে পেরে মহা খুশি তারা।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।