ক্রাইমবার্তা রিপোট:নাটোর প্রতিনিধি:নাটোরের সিংড়া উপজেলায় এক কৃষককে হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান সিদ্দীক এ রায় দেন।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এবং কোর্ট ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন মণ্ডল রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান, বুলু,খলিল ও মজিবর সিংড়া উপজেলার বিয়াশ গ্রামের বাসিন্দা। অপর আসামি মনির হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর বিল হড়ি বারি গ্রামের বাসিন্দা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল হাকিম এবং নজরুল ইসলাম সহোদর। তারা গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এবং কোর্ট ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, ২০০৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিয়াশ গ্রামের আব্দুল কাদের দুদুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। এসময় দুদুর কাছে তারা মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামিরা দুদুকে গুলি করে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জয়নব বেগম বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর নজরুল ইসলাম চার্জশিট দাখিন করেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তি তর্ক শেষে রবিবার দুপুরে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এছাড়াও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলা চলাকালীন সময় দুই আসামি মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজুর ও মজিবর এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অপর চার আসামি পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানান।
——–০—————-
হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড
ঝিনাইদহে কলেজছাত্র ইমরান হোসেন হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক গোলাম আযম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন ছোটকামারকুন্ডু গ্রামের ইমরান হোসেন, একই গ্রামের নাছিম বিশ্বাস, শিকারপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে মুকুল। মামলায় অপর আসামি ঢাকা আশুলিয়ার ধনাঈদ এলাকার জাকির হোসেন খালাস পেয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নাছিম ছাড়া অন্যরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর শহরের লাউদিয়া গ্রামের কলেজছাত্র ইমরান বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। পরদিন সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই ইমরানের বাবা নজরুল ইসলাম অজ্ঞাতদের আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা র করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৩ জুন ৪ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পুলিশ। এ সময় দন্ডিত তিনজন দন্ড বিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন