ক্রাইমবার্তা রিপোট:মেহেরপুর শহরে ভাবি সোনাভানু খাতুনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক করে বিয়ের পর তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মহিরুল ইসলাম।
রোববার সকাল ৯টার দিকে জেলা শহরের ক্যাশবপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোনাভানু (২৭) সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের মহিরুল ইসলামের (২৭) স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ সোনাভানু খাতুন আগে মহিরুলের চাচাতো ভাই মাবুদ হোসেনের স্ত্রী ছিলেন। পরে ভাবি সোনাভানুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক করে গত জানুয়ারিতে বিয়ে করেন মহিরুল। বিয়ের পর থেকে তারা জেলা শহরের ক্যাশবপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সোনাভানুর আগের পক্ষের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
রোববার সকাল ৯টার দিকে মহিরুল ইসলাম পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে স্ত্রী সোনাভানুর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরে। এ সময় স্ত্রী সোনাভানু খাতুন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে নেতিয়ে পড়েন। পরে পাশের বাড়ির লোকজনের সহায়তায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সোনাভানুকে মৃত ঘোষণা করেন।
আগের পক্ষের মেয়ে মায়া খাতুন (১০) জানায়, ঈদে নতুন পোশাক না দেয়া নিয়ে বাবা-মায়ের মধ্যে কয়েক দিন থেকে ঝগড়া চলছিল। আজ সকালে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবা মায়ের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরলে মা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মেহেরপুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, হত্যা শেষে স্বামী মহিরুল ইসলাম নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।