বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায় সরকার : মির্জা ফখরুল#

ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে সরকার বিভিন্ন কৌশল করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধূরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, সাবেক দফতর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নির্বাচনে অংশ নেবে। আওয়ামী লীগ চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক। সেজন্য তারা নানা অজুহাতে বিএনপির নির্বাচনে আসার পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে শপথ নিয়েছি। একই সাথে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করারর শপথ নিয়েছি।

এক-এগারোর প্রসঙ্গ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির হাতে তো স্টিয়ারিং নেই। স্টিয়ারিং তো তাদের হাতে। এক-এগারোর সরকার তো তারা এনেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এক এগারোর সরকারকে বৈধতা দিয়েছিল। সুতরাং সেই এক্সপেরিয়েন্স তাদেরই আছে। এক এগারোর ষড়যন্ত্র তারাই করছে।’

বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার সুযোগ নেই : কাদের

ওবায়দুল কাদের – সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যখন সুযোগ ছিল তখন বিএনপি আসেনি। গত নির্বাচনে তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটি পর্যন্ত আমরা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এখন তো তাদের সংসদে প্রতিনিধিত্বই নেই। সেখানে তাদের নেওয়ার সুযোগই নেই।

ঈদ উপলক্ষ্যে শুক্রবার রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে আগামী নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির কোনো অংশগ্রহণ থাকবে কি-না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি একথা বলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান প্রমুখ।

নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্রাট পদে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আছে কি-না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বুদ্ধিজীবী আছেন, পেশাজীবী আছেন। আরো অনেকেই আছেন। সেখানে একটি দল থেকে কেন নিতে হবে? আর সেই চিন্তা সরকারের নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের কোনো পদ্ধতি নেই। পদ্ধতিটা আমাদের সংবিধানে আছে।

সংবিধান নির্ধারণ করে দিয়েছে কীভাবে নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য অর্পিত দায়িত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে নির্বাচন কমিশন যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য ৯০ শতাংশ প্রস্তুতি শেষ করেছেন বলে ঘোষণা করেছেন। আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা কীভাবে হবে তাও কিন্তু নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। সরকার কিছুই করবে না।

মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু এক-এগারোর ন্যায় আবারো দেশকে ভয়ঙ্কর ও অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা উঠে পড়ে লেগেছে। তবে বাধা উপেক্ষা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।