ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ওদের প্রস্তাবিত সংলাপে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিসের সংলাপ?
মন্ত্রী এ সময় ২০১৪ সালের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে সংলাপের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন, তিনি তা প্রত্যাখান করেন। এমনকি তার পুত্র কোকো মারা যাওয়ার পর আমাদের নেত্রী শান্তনা জানাতে গিয়েছিলেন, মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেন খালেদা জিয়া। এখন ওরা সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে। কী জন্য এ সংলাপ?
রোববার ভোলা সরকারি কলেজ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল এসব কথা বলেন। বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ওদের নেত্রী জেলে। ওদের আন্দোলন করার ক্ষমতা নেই। এখন ওরা বলে, আগামী নির্বাচন আমাদের সরকারের অধীনে করবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই আগামী নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে। ওই সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপিকে সর্তক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন থেমে থাকবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনে না আসেন, তা হবে আত্মহত্যার শামিল। বিএনপি নামের এ দলটিকে কেউ আর খুঁজে পাবে না।
ছাত্রদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসিত করেছেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী মুজাহিদদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। ওদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হত। আর আমাদের হাতে পরাতো হাতকড়া।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া জড়িত।
দেশবাসী ও নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, ওরা বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করবে। সে জন্যই স্বাধীনতার মূল্যবোধ বুকে ধারণ করে আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভীন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মিসেস আনোয়ারা আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাফিন মাহমুদ, অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, উপাধ্যক্ষ গোলাম জাকারিয়া, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক জামাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক বশির উল্লাহ, এটিম রেজাউল করিম প্রমুখ।