সাতক্ষীরা প্রতিনিধি”সাতক্ষীরায় শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি ও তার সহযোগি কর্তৃক মামলা তুলে নিতে বাদিকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের মহাসীন আলীর মেয়ে ও শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ খাজিদা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৩ জুলাই হাওয়ালখালী গ্রামের আলিউজ্জামান পপলুর ছেলে নিয়াজ ওরফে শরিফ ওরফে নাবিল আমার শিশু মেয়ে(৮)কে কৌশলে ডেকে পাশ্ববর্তী পাট বাগানের মধ্যে পানির ডিবের হাউজে নিয়ে যায়। নাবিলের সহযোগি সিরাজুল ইসলামের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (১৬), আনারুল ইসলামের ছেলে আল আমিন আগে থেকে সেখানে বসেছিলো। তারা ডিবের ঘরে ফেলে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। তাদের হাত থেকে কোন রকমে পালিয়ে বাড়িতে এসে মেয়ে আমাকে বিস্তারিত খুলে বলে। এঘটনায় আমি গত ১৪ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন একটি মামলা দায়ের করি। পুলিশ ওই ৩ ধর্ষককে আটক করে। তারা বর্তমানে যশোর জেলা কারাগারে রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ওই তিন আসামির পরিবারের লোক মৃত জয়নাল সরদারের ছেলে আবুল খায়ের ওরফে খালেক, আক্কাজ সরদারের ছেলে আনারুল ওরফে আনার, অলিউজ্জামান পপলুর স্ত্রী নুর জাহান ও রিজাউল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এমনকি তারা আমার মেয়ের ধর্ষনের আলামত নষ্ট করে ঘটনাটি মিথ্যে প্রমাণিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে উল্লেখিতরা একত্রিত হয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে মামলা তুলে নিতে বলে। না হলে আমাকে মামলা করার সাদ মিটাইয়া দিবে এবং উল্টো মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় তারা বাড়ি থেকে আমার মাতা ও মেয়ে ছবি তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা আমার মাতা ও মেয়ের ওই ছবি ব্যবহার করে মিথ্যে আপোষনামা তৈরি করে আমাদের উল্টো হয়রানির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে আমি আশংকা করছি। তিনি ওই লম্পট ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
১৯.০৮.১৮