ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:মার্কিন অবরোধের কারণে তুর্কি মুদ্রা লিরার দাম কমে গেছে। সামরিক শক্তির দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ।
তুর্কি মুদ্রা ‘লিরা কেনার তিন দিনের প্রচারণা’ শুরু করেছে দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্টরা। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
‘লিরা’ কেনার প্রচারের প্রথম দিন শনিবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের পাশাপাশি করাচি, লাহোর এবং অন্যান্য শহরে অনেক পাকিস্তানি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে ছুটে যান ‘লিরা’ কিনতে।
ইসলামাবাদে মূল আয়োজনটা হয় ইসলামাবাদ প্রেসক্লাবের সামনে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং স্যোশাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্টরা এ প্রচারণার আয়োজন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান জামায়াত-ই-ইসলামীর সাবেক প্রধান কাজী হোসেইন আহমেদের ছেলে ড. আসিফ লুকমান কাজী।
তুর্কি পণ্য ও লিরা কেনা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি ও তুর্কিরা একই জাতি। তুরস্ক সবসময় পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে… এখন আমাদের তুরস্কের প্রয়োজন এবং আমরা তাদের সঙ্গেই আছি।’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর গত সপ্তাহে তুরস্কের দুটি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিগুণ শুল্ক বৃদ্ধি করে।
এ ঘটনার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পাল্টা পদক্ষেপ নেন। তুরস্ক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি, মাদক, তামাক, ইলেকট্রনিকস পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান হয়। ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় আমেরিকা জড়িত বলে সরাসরি অভিযোগ এনেছিল তুরস্ক সরকার।
অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ব্রেনসনকে দেশটির পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে জেলহাজতে পাঠান এবং সর্বশেষ গৃহবন্দির আদেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও ব্রানসনের জামিন না দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর অবরোধ আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সর্বশেষ গত সপ্তাহে তুরস্কের অ্যালোমিনিয়াম ও স্টিল পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।