ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃসাতক্ষীরাঃ ভিজিএফের বিপুল পরিমানে চাল সহ সাতক্ষীরা জেলা কৃষক লীগ নেতা সদর এমপির অত্যান্ত অাস্থা ভাজন সাংবাদিক এস, এম, রেজাউলকে অাটক করেছে পুলিশ।
হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের ১৩ বস্তা চাল আটক করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ও যশোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাংবাদিক এস, এম, রেজাউল ইসলামের রান্না ঘরের ট্রাংক এবং তার নিকট আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় ইউপি সদস্য রেজাউল ধানের গোলার মধ্যে পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। তাকে সেখান থেকে আটক করে পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও এলাকার ঋষিপাড়ায় বিক্রয় করা চালও উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য এস এম রেজাউল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-সম্পাদক। তার পুত্র ফজলে রাব্বী শাওন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। রেজাউলের স্ত্রী তহমিনা ইসলাম মনি সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জোর করে ভাগ করে নিয়ে আসেন ইউপি সদস্য রেজাইল ইসলাম। এলাকায় এনে এ চাল ৭ থেকে ৮ কেজি করে বিতরণ করে বাকি চাল নিজ বাড়ি এবং নিকট আত্মীয়ের বাড়ি লুকিয়ে রাখে। কিছু পাশের ঋশি পাড়ায় বিক্রয় করেন। বিষয়টি যানযানি হলে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান পরিচালনা করে ইউপি সদস্যের বাড়ির রান্না ঘর, ট্রাংকে লুকিয়ে রাখা এবং ঋশিপাড়ায় বিক্রয় করা চালও উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ও যশোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাংবাদিক এস, এম, রেজাউল ইসলামের মোবাইলে বার বার মোবাইল কার হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার সহকারি কমিশনার (রাজস্ব শাখা) মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, সরকারি চাল আত্মসাতে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা হবে। তবে, অভিযান এখানো শেষ হয়নি। বিস্তারিত অভিযান শেষে হলে বলতে পারবো।
সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আটক রেজাউলকে আদালতে হাজির করা হবে।