অাবু সাইদরবিশ্বাসঃ ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ সাতক্ষীরাঃ স্বপ্ন নয়, অথচ স্বপ্নের মতো নির্মল নিরিবিলি এক মায়াবী স্বপ্নময় ভুবন হতে চলেছে সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তি পাটকেলঘাটা নীলিমা ইকো পার্ক। গত তিন দিন ধরে পার্কটি ঘিরে উপছে পড়া ভীড়।
কপোতাক্ষ নদের দুধারে জেগে উঠা শত শত একর জমিতে সরকারী উদ্যোগে পার্কটি গড়ে উঠেছে। ২০১৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পার্কটির অানুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালিন জেলা প্রশাসক মোঃ মহিউদ্দীন।
বাংলাদেশের ৫টি উপকূলীয় জেলায় বনায়ন শীষক প্রকল্পের অাওয়তায় ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই নীলিমা ইকো পার্ক স্ট্রীপ বাগানের চারা রোপন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো লোকমান হোসেন মিয়া। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহামম্মদ ইফতেখার হোসেন এর সার্বিক ব্যবস্থপনায় অানুষ্ঠানিক ভাবে পার্কটির যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী চিত্তবিনোদন করার জন্য এখানে ছুটে আসেন। বিশেষ করে শীত মৌসুমে জনসমাগম ঘটে বেশি।
এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক নদ, উদ্যান, বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছগাছালি ও ফুলের সমারোহ, শিশুপার্ক, কৃত্রিম পশুপাখি, ফুলবাগিচা, ইটখোলা, খেলামঞ্চ। কুঞ্জ, ভাস্কর্য, ডাকবাংলো, মাটির কুটির, বাজার প্রকৃতিতে বাংলাদেশের মানচিত্র। যেন এক মোহন-মায়াবী স্বপ্নিল ভুবন। কয়েক ভাগে বিভক্ত করা এই স্বপ্নময় জগতের পথ চলতে চলতে দেখা যায়,ঐতিহ্যবাহী পাটকেলঘাটা ব্রিজ,স্বপ্ন ময় নদের দুধার। সামান্য টাকায় ট্রলার ভ্রমণ
নদের তীরে ইকোপার্ক গড়ে উঠলেও নদের পাশের অবৈধ দখলদারিত্ব পার্কের সৌন্দর্য ম্লান করে চলেছে। গত ১৯ জুলাই নীলিমা ইকো পার্কে মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন দৃঢ় চিত্তে বলেছিলেন, কপোতাক্ষ পাড়ের অবৈধ দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে বুলডোজার দিয়ে এসকল স্থাপনা নষ্ট করা হবে। কয়েক মাস অতিবাহত হলেও অবৈধভাবে যারা দখল করে আছে তারা এখনও প্রশাসনের কথায় কর্ণপাত করেননি। ২০১৭ সালের ১অক্টোবর তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহীউদ্দীন জাক-জমকপূর্ণভাবে উদ্বোধন করেন এই পার্কটি। অল্পদিনে পার্কটি দৃষ্টিনন্দন হলেও, নদের পাশেই রাস্তার দু’ধারে অবৈধ দখলদারিত্ব বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে ইকোপার্ক পাটকেলঘাটা কেশবলাল মহাশ্মাশান পর্যন্ত বিনোদন প্রেমীদের সময় কাটানোর জন্য নদের পাশ দিয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত বেঞ্চ তৈরীর কাজ চলছে। কিন্তু খাদ্য গোডাউনের সামনের বিনোদনে আসা পার্কের পাশ দিয়ে অবৈধভাবে ইট, বালু, খোয়া সুড়কি, বিভিন্ন প্রকার স্যানেটারী সামগ্রী রেখে জায়গা দখল করে রেখেছে এক শ্রেনীর অবৈধ ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসির দাবি স্বল্প সময়ের মধ্যে পার্কে আসা মানুষগুলো চলাচল নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত রাস্তাটি বিনোদন প্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন। নীলিমা ইকো পার্ক থেকে পাটকেলঘাটা সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার দিকে যেতে চায়না সাধারণ জনগণ, কারণ দুর্গন্ধ, যত্রতত্র মলমুত্র ত্যাগ, সাথে সাথে রাস্তার ধারে বিভিন্ন ধরনের দখলদারিত্ব চোখে পড়ার মত। ভূমি দস্যুরা দখল করতে করতে জনগণের চলাচলের রাস্তাটি দখল করে ফেলেছে। জেলা প্রশাসক ঘোষনা দিয়েছে দুপাশের লোকজনের সুবিধার জন্য নদের উপর ঝুলন্ত ব্রিজ, ইকোপার্কের চার পাশদিয়ে কাটা তারের বেড়া, লাইট পোস্ট স্থাপন করবেন। এ বিষয়ে সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন শ্মশান ঘাট পর্যন্ত বিনোদনের জন্য আসা মানুষের বসার ব্যবস্থা করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া রকমারী গাছের চারা রোপন করে নৈসর্গিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ চলমান। প্রশাসন যে সুযোগ সুবিধা গুলা দেওয়ার ওয়াদা করেছে জনগণের দাবী সেগুলা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।