ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃনাটোরঃ নাটোরের বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কদিমচিলান এলাকায় বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে একইপরিবারের তিনজনসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন-লেগুনার যাত্রী পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি শ্মশানপাড়ার মিন্টু রোজারিওর স্ত্রী আদরী বিশ্বাস (৩৫), তার ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২) ও ১০ মাস বয়সী শিশু মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস, লেগুনার চালক নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের আব্দুর রহিম (২৮), বড়াইগ্রামের নারায়ণপুর গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী রজুফা খাতুন (৫০), রূপচাঁদের স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নুরফেল সরদারের স্ত্রী লগেনা বেগম (৫০), টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাসিন্দা আর আর পি ফিড কোম্পানির কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন (৫৫), পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া মীর কামারী এলাকার সালামতউল্লাহর স্ত্রী শাপলা খাতুন (২১) ও ঈশ্বরদী এলাকার আব্দুস সোবহান (৭৫)।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জিএম শামস নুর জানান, বিকাল পৌনে ৪টায় কদিমচিলান সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে পাবনা থেকে বগুড়াগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৬৫৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষ ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নাটোর সদর হাসপাতাল, বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতাল ও বনপাড়া আমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জন মারা যান।
নিহতদের মধ্যে ৫ জন মহিলা, দুজন শিশু ও বাকিরা পুরুষ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাজ্জাকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহতদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
—————0——————-
নাটোরের বড়াইগ্রাম-লালপুর সীমান্তে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের পদিম ছিলান ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জি এম শামস নুর জানান, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জন মারা যান।
বিস্তারিত আসছে..